০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রবির আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের আবেদন ১০ গুণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
  • / ৪১৪০ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া রবি আজিয়াটার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার আবেদন করেছেন। যা চাহিদার প্রায় ১০ গুণ। ব্যবসায় দূর্বল হলেও মোবাইল অপারেটর কোম্পানি হিসেবে আইপিও প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই এ কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরী হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবি পুঁজিবাজার থেকে (নিজস্ব স্টাফ ব্যতিত) ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে। এরমধ্যে যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ৪০ শতাংশ হিসেবে ১৫৫ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকার। তবে ৬২১টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর পক্ষে ১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যা বরাদ্দের বিপরীতে ১০২২.৮৭ শতাংশ।

এই অতিরিক্ত আবেদনের ফলে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪১তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে রবি। যা হবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু।

রবির নতুন শেয়ারের মধ্যে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা হবে বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালে রবির ইপিএস হয়েছিল ৪৬ পয়সা। তবে ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা ও ২০১৬ সালে ১ টাকা ৮৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

শেয়ার করুন

x
English Version

রবির আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের আবেদন ১০ গুণ

আপডেট: ০৪:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া রবি আজিয়াটার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার আবেদন করেছেন। যা চাহিদার প্রায় ১০ গুণ। ব্যবসায় দূর্বল হলেও মোবাইল অপারেটর কোম্পানি হিসেবে আইপিও প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই এ কোম্পানিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরী হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবি পুঁজিবাজার থেকে (নিজস্ব স্টাফ ব্যতিত) ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে। এরমধ্যে যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ৪০ শতাংশ হিসেবে ১৫৫ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকার। তবে ৬২১টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর পক্ষে ১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যা বরাদ্দের বিপরীতে ১০২২.৮৭ শতাংশ।

এই অতিরিক্ত আবেদনের ফলে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪১তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে রবি। যা হবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু।

রবির নতুন শেয়ারের মধ্যে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা হবে বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালে রবির ইপিএস হয়েছিল ৪৬ পয়সা। তবে ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা ও ২০১৬ সালে ১ টাকা ৮৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।