০৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

‘লভ্যাংশের ভিত্তিতে কোম্পানির পারফরম্যান্স বিবেচনাকারীরা ভাল বিনিয়োগকারী নন’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:০২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে

সদ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, শুধু লভ্যাংশ নয়, সামগ্রিক বিষয়ের আলোকে তার কোম্পানির পারফরম্যান্স মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, একটি কোম্পানির পারফরম্যান্স মূল্যায়নের অনেকগুলো অনুষঙ্গ আছে। সেগুলো বাদ দিয়ে শুধু লভ্যাংশ সংক্রান্ত বিষয় দিয়ে যারা কোম্পানির পারফরম্যান্স বিবেচনা করেন, তারা ভাল বিনিয়োগকারী (Good Investor) নন

আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক ফলাফল তুলে ধরার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগের দিন (১৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার) রবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করার পর শেয়ারহোল্ডারদেরকে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার (No Dividend) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই লভ্যাংশ না দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠায়। অন্যদিকে বাজারে শেয়ারটির দাম কমে সার্কিটব্রেকার স্পর্শ করে। এ বাস্তবতায় সংবাদ সম্মেলনের বড় অংশ জুড়েই লভ্যাংশ সংক্রান্ত ইস্যুটি গুরুত্ব পায়।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা লভ্যাংশ দেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন এমন নয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

তিনি বলেন, সর্বশেষ বছরে (২০২০) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৩ পয়সা। এর পুরোটা লভ্যাংশ হিসেবে দিয়ে দিলেও হয়তো বিনিয়োগকারীরা সন্তুষ্ট হতেন না।  

অনেক কোম্পানি আয় কম হলে উদ্যোক্তাদের (Sponsor) বাদ দিয়ে শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদেরকে লভ্যাংশ দিলে এই আয় দিয়েও ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া যেতো, এমন প্রশ্ন উঠে সংবাদ সম্মেলনে। এর জবাবে রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন বলেন, পুরনো বিনিয়োগকারীদের বাদ দিয়ে তুন বিনিয়োগারীদের লভ্যাংশ দেওয়া কোনো যৌক্তিক বিষয় হতে পারে না। তাছাড়া সুশাসন আছে, এমন কোনো কোম্পানি এই ধরনের বিষয় চর্চা করতে পারে না।

তিনি বলেন, অবন্টিত মুনাফা বিনিয়োগ করে আগামীতে শেয়ারহোল্ডারদের ভাল রিটার্ন দেওয়ার বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদ গুরুত্ব দিয়েছে।

রবির চিফ কমপ্লায়েন্স ও রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, কোম্পানিটি সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যে মুনাফা হয়েছে তা সারা বছরের। পুরো বছরের মধ্যে এক সপ্তাহের মতো নতুন বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ততা।

লভ্যাংশ না দেওয়ায় রবির কোম্পানি সচিবকে বিএসইসিতে ডেকে পাঠানোর বিষয়ে মাহতাব উদ্দিন বলেন, রেগুলেটর সব সময় চায় কো্পানিগুলো ভাল পারফর্ম করুক। শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিক। রেগুলেটরির এই সেন্টিমেন্টকে সম্মান জানাই।

তবে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির প্রতিকারের (Reamady) বিষয়ে বিএসইসি রবিকে যে তাগিদ দিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু  করা হবে কি-না তা পরিস্কার করেননি তিনি।

শেয়ার করুন

x
English Version

‘লভ্যাংশের ভিত্তিতে কোম্পানির পারফরম্যান্স বিবেচনাকারীরা ভাল বিনিয়োগকারী নন’

আপডেট: ০৫:০২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সদ্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, শুধু লভ্যাংশ নয়, সামগ্রিক বিষয়ের আলোকে তার কোম্পানির পারফরম্যান্স মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, একটি কোম্পানির পারফরম্যান্স মূল্যায়নের অনেকগুলো অনুষঙ্গ আছে। সেগুলো বাদ দিয়ে শুধু লভ্যাংশ সংক্রান্ত বিষয় দিয়ে যারা কোম্পানির পারফরম্যান্স বিবেচনা করেন, তারা ভাল বিনিয়োগকারী (Good Investor) নন

আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক ফলাফল তুলে ধরার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগের দিন (১৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার) রবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করার পর শেয়ারহোল্ডারদেরকে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার (No Dividend) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই লভ্যাংশ না দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠায়। অন্যদিকে বাজারে শেয়ারটির দাম কমে সার্কিটব্রেকার স্পর্শ করে। এ বাস্তবতায় সংবাদ সম্মেলনের বড় অংশ জুড়েই লভ্যাংশ সংক্রান্ত ইস্যুটি গুরুত্ব পায়।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা লভ্যাংশ দেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন এমন নয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

তিনি বলেন, সর্বশেষ বছরে (২০২০) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৩৩ পয়সা। এর পুরোটা লভ্যাংশ হিসেবে দিয়ে দিলেও হয়তো বিনিয়োগকারীরা সন্তুষ্ট হতেন না।  

অনেক কোম্পানি আয় কম হলে উদ্যোক্তাদের (Sponsor) বাদ দিয়ে শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদেরকে লভ্যাংশ দিলে এই আয় দিয়েও ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া যেতো, এমন প্রশ্ন উঠে সংবাদ সম্মেলনে। এর জবাবে রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন বলেন, পুরনো বিনিয়োগকারীদের বাদ দিয়ে তুন বিনিয়োগারীদের লভ্যাংশ দেওয়া কোনো যৌক্তিক বিষয় হতে পারে না। তাছাড়া সুশাসন আছে, এমন কোনো কোম্পানি এই ধরনের বিষয় চর্চা করতে পারে না।

তিনি বলেন, অবন্টিত মুনাফা বিনিয়োগ করে আগামীতে শেয়ারহোল্ডারদের ভাল রিটার্ন দেওয়ার বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদ গুরুত্ব দিয়েছে।

রবির চিফ কমপ্লায়েন্স ও রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, কোম্পানিটি সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যে মুনাফা হয়েছে তা সারা বছরের। পুরো বছরের মধ্যে এক সপ্তাহের মতো নতুন বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ততা।

লভ্যাংশ না দেওয়ায় রবির কোম্পানি সচিবকে বিএসইসিতে ডেকে পাঠানোর বিষয়ে মাহতাব উদ্দিন বলেন, রেগুলেটর সব সময় চায় কো্পানিগুলো ভাল পারফর্ম করুক। শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিক। রেগুলেটরির এই সেন্টিমেন্টকে সম্মান জানাই।

তবে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির প্রতিকারের (Reamady) বিষয়ে বিএসইসি রবিকে যে তাগিদ দিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু  করা হবে কি-না তা পরিস্কার করেননি তিনি।