০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে আইসিবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে ও সাপোর্ট দিতে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বা সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ, কমিশনার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইসিবির ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও শেয়ারবাজার ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের পরামর্শক সুইস নাগরিক মি. জুলিয়ান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান এরইমধ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনাও করেছে। বাজারের সহযোগিতায় এই বন্ডটি দ্রুত ইস্যু করতে চাচ্ছে কমিশন।

তথ্য মতে, এই অর্থের মধ্য থেকে স্বল্প সুদে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান, নিজস্ব ঋণ পরিশোধ ও নিজের পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করবে আইসিবি। যে বন্ডে সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকের বিনিয়োগ অনেকটাই নিশ্চিত।

এর আগে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার টাকার তহবিল চেয়েছে বিএসইসি। তবে সেটি পেতে কিছুটা সময় লাগবে। এই সময়ে আইসিবির বন্ডটি শেয়ারবাজারে তারল্য সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম শেয়ারবাজার নিউজকে বলেন, এ বন্ডের কুপন হার হবে ৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে আইসিবি যে অর্থ সংগ্রহ করবে, তার মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটি তার উচ্চ সুদের ঋণ পরিশোধে ব্যয় করবে।

এছাড়া ৪ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে বিতরণ করবে। যাতে ঋণদাতা ওই সব প্রতিষ্ঠান স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে গ্রাহকদের দিতে পারে। এর বাইরে বাকি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য রাখবে আইসিবি।

তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের কাছে ৭ বছর মেয়াদি বন্ড ইস্যু করবে আইসিবি। যাতে করে প্রতিষ্ঠানটি থেকে দীর্ঘসময়ের জন্য শেয়ারবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। একইসঙ্গে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকে কম সুদে ঋণ দেওয়া যাবে। এতে করে কমিশনের নির্ধারন করে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ সুদে মার্জিন ঋণ প্রদান সহজ হবে।

 

শেয়ার করুন

x
English Version

শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে আইসিবি

আপডেট: ১১:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

শেয়ারবাজারে তারল্য বাড়াতে ও সাপোর্ট দিতে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বা সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ, কমিশনার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইসিবির ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও শেয়ারবাজার ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের পরামর্শক সুইস নাগরিক মি. জুলিয়ান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান এরইমধ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনাও করেছে। বাজারের সহযোগিতায় এই বন্ডটি দ্রুত ইস্যু করতে চাচ্ছে কমিশন।

তথ্য মতে, এই অর্থের মধ্য থেকে স্বল্প সুদে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান, নিজস্ব ঋণ পরিশোধ ও নিজের পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করবে আইসিবি। যে বন্ডে সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকের বিনিয়োগ অনেকটাই নিশ্চিত।

এর আগে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার টাকার তহবিল চেয়েছে বিএসইসি। তবে সেটি পেতে কিছুটা সময় লাগবে। এই সময়ে আইসিবির বন্ডটি শেয়ারবাজারে তারল্য সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম শেয়ারবাজার নিউজকে বলেন, এ বন্ডের কুপন হার হবে ৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে আইসিবি যে অর্থ সংগ্রহ করবে, তার মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটি তার উচ্চ সুদের ঋণ পরিশোধে ব্যয় করবে।

এছাড়া ৪ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে বিতরণ করবে। যাতে ঋণদাতা ওই সব প্রতিষ্ঠান স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে গ্রাহকদের দিতে পারে। এর বাইরে বাকি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য রাখবে আইসিবি।

তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের কাছে ৭ বছর মেয়াদি বন্ড ইস্যু করবে আইসিবি। যাতে করে প্রতিষ্ঠানটি থেকে দীর্ঘসময়ের জন্য শেয়ারবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। একইসঙ্গে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকে কম সুদে ঋণ দেওয়া যাবে। এতে করে কমিশনের নির্ধারন করে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ সুদে মার্জিন ঋণ প্রদান সহজ হবে।