০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সাজা বাতিল না হলে নির্বাচনে অযোগ্য খালেদা জিয়া

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৪৩৫১ বার দেখা হয়েছে

জিয়া অরফানেজ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে নিশ্চয়ই পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়। সাজার দুই রকম ব্যাখ্যা রয়েছে। এক. আপিল করে সাজা বাতিল করা এবং দুই. সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা। এখানে আমার অভিমত হলো, কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সাজা বাতিল করতে হবে। তবে সাজা সাময়িক স্থগিত করে নির্বাচন করতে পারবে না। ফলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আপিল শুনানি অবস্থায় থাকলেও হবে না, যে পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়।’

রায়ের ফলে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তার নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রশ্নই আসে না। তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। সংবিধান অনুসারে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান খুরশিদ আলম।

এর আগেও অনেকেই সাজা স্থগিত রেখে নির্বাচন করেছেন সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তার জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটা অনেকেই আইনের নানান ফাঁকফোকর দিয়ে করতে পারেন। কিন্তু আমার ব্যাখ্যা হলো যে, কেউ যদি দণ্ডপ্রাপ্ত হন সেক্ষেত্রে তার দণ্ড যতক্ষণ না বাতিল হবে, সে পর্যন্ত তিনি মুক্ত মানুষ হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন না। আবার সাজা স্থগিত হলে আপাতত জেল খাটা থেকে হয়তো অব্যাহতি পেতে পারেন, কিন্তু নির্বাচন করতে পারবেন না।’

মামলাটির পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কি হবে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সাধারণত হাইকোর্টের রায়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগে আপিল করার বিধান রয়েছে। তবে আপিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা তাদের বিষয়।’

উল্লেখ্য, এর আগে এ মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে খালেদা ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

অর্থকথা/

শেয়ার করুন

x
English Version

সাজা বাতিল না হলে নির্বাচনে অযোগ্য খালেদা জিয়া

আপডেট: ০৫:৩৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

জিয়া অরফানেজ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলে নিশ্চয়ই পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়। সাজার দুই রকম ব্যাখ্যা রয়েছে। এক. আপিল করে সাজা বাতিল করা এবং দুই. সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা। এখানে আমার অভিমত হলো, কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সাজা বাতিল করতে হবে। তবে সাজা সাময়িক স্থগিত করে নির্বাচন করতে পারবে না। ফলে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আপিল শুনানি অবস্থায় থাকলেও হবে না, যে পর্যন্ত সাজা বাতিল না হয়।’

রায়ের ফলে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তার নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রশ্নই আসে না। তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। সংবিধান অনুসারে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান খুরশিদ আলম।

এর আগেও অনেকেই সাজা স্থগিত রেখে নির্বাচন করেছেন সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তার জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটা অনেকেই আইনের নানান ফাঁকফোকর দিয়ে করতে পারেন। কিন্তু আমার ব্যাখ্যা হলো যে, কেউ যদি দণ্ডপ্রাপ্ত হন সেক্ষেত্রে তার দণ্ড যতক্ষণ না বাতিল হবে, সে পর্যন্ত তিনি মুক্ত মানুষ হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন না। আবার সাজা স্থগিত হলে আপাতত জেল খাটা থেকে হয়তো অব্যাহতি পেতে পারেন, কিন্তু নির্বাচন করতে পারবেন না।’

মামলাটির পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কি হবে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সাধারণত হাইকোর্টের রায়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগে আপিল করার বিধান রয়েছে। তবে আপিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা তাদের বিষয়।’

উল্লেখ্য, এর আগে এ মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে খালেদা ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

অর্থকথা/