০১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সাত বছর ধরে এমডি নেই গ্রামীন ব্যাংকে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৪৪১২ বার দেখা হয়েছে

দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিয়ে চলছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অপসারণের পর নতুন করে আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ হয়নি। ফলে ২০১১ সাল থেকে জ্যেষ্ঠ কোনো কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে চলছে এটির কার্যক্রম। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমডি বাবুল সাহা।
বিশাল এ প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ এমডি না থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডিকে পূর্ণাঙ্গ এমডি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে অনুমতি পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।
জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ মার্চ গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অব্যাহতি দেয় সরকার। এরপর ওই বছরের ১২ মে প্রতিষ্ঠানটির এক উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে চলছে। পরে গ্রামীণ ব্যাংকের আইন সংশোধন করে সরকার। সংশোধিত আইন অনুযায়ী পুনর্গঠন করা হয় এটির পরিচালনা পর্ষদ।
পর্ষদ গঠনের পর চার বছর অতিবাহিত হলেও দীর্ঘদিন পর্ষদের সভা না হওয়ায় এখনও পূর্ণাঙ্গ এমডি নিয়োগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি পর্ষদ। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডিকে পূর্ণাঙ্গ এমডি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বিশেষায়িত এ ব্যাংকের এমডি নিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর চিঠি দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার মোজাম্মেল হক।
সার্চ কমিটি গঠন না করেই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার মোজাম্মেল হক শেয়ার বিজকে বলেন, ‘এটি বিশেষায়িত ব্যাংক। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের আলোকে পরিচালিত হয়। বিশেষ চাহিদার কারণেই বোর্ড সরাসরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গভর্নরকে পাঠানো চেয়ারম্যানের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ১২ মে থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদটি শূন্য। তখন থেকে ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ও যোগ্যতম কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের মতো একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক না থাকার বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। ফলে এ নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা রয়েছে, যার অবসান হওয়া জরুরি বলে বোর্ড উপলব্ধি করছে। অনিবার্য কারণে এতদিন বোর্ড সভা না হওয়ায় এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করা সময়সাপেক্ষ, তাই গ্রামীণ ব্যাংক আইনের অধীনে প্রণীত বিধির ১৪ ধারার ৫ উপবিধি অনুসারে ব্যাংকের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডি বাবুল সাহাকে এমডির পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে পরিচালকমণ্ডলীর সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আাগামী বছরের ২ আগস্ট বাবুল সাহার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হবে। তাই তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হলে বিদ্যমান আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। এজন্য গত দুই আগস্ট থেকে বাবুল সাহার অবসরজনিত ছুটি বাতিল করেছে পরিচালনা পর্ষদ। এমতাবস্থায় বাবুল সাহাকে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে এমডির পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার অনুমোদন দিতে গভর্নরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩-এর আলোকে ব্যাংকটি পরিচালিত হয়ে আসছিল ২০১২ সাল পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে সরকার এটি রোহিত করে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ নামে সংশোধন করে। তখন থেকেই ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালিত হয়ে আসছে।
সংশোধিত আইনে গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদে সরকার মনোনীত তিন সদস্য পরিচালক হিসেবে থাকবেন। এই তিনজনের মধ্য থেকেই একজন হবেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তাও সরকার নির্ধারণ করবে। বাকি ৯ জন পরিচালক হবেন গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা-শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে।
ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বাবুল সাহার নিয়োগ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণের তারিখ থেকেই বাবুল সাহাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ধরা হবে।

তথ্যসূত্র: শেয়ারবিজ

শেয়ার করুন

x
English Version

সাত বছর ধরে এমডি নেই গ্রামীন ব্যাংকে

আপডেট: ০৬:২১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিয়ে চলছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অপসারণের পর নতুন করে আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ হয়নি। ফলে ২০১১ সাল থেকে জ্যেষ্ঠ কোনো কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে চলছে এটির কার্যক্রম। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমডি বাবুল সাহা।
বিশাল এ প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ এমডি না থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডিকে পূর্ণাঙ্গ এমডি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে অনুমতি পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।
জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ মার্চ গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অব্যাহতি দেয় সরকার। এরপর ওই বছরের ১২ মে প্রতিষ্ঠানটির এক উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে চলছে। পরে গ্রামীণ ব্যাংকের আইন সংশোধন করে সরকার। সংশোধিত আইন অনুযায়ী পুনর্গঠন করা হয় এটির পরিচালনা পর্ষদ।
পর্ষদ গঠনের পর চার বছর অতিবাহিত হলেও দীর্ঘদিন পর্ষদের সভা না হওয়ায় এখনও পূর্ণাঙ্গ এমডি নিয়োগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি পর্ষদ। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডিকে পূর্ণাঙ্গ এমডি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বিশেষায়িত এ ব্যাংকের এমডি নিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর চিঠি দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার মোজাম্মেল হক।
সার্চ কমিটি গঠন না করেই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার মোজাম্মেল হক শেয়ার বিজকে বলেন, ‘এটি বিশেষায়িত ব্যাংক। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের আলোকে পরিচালিত হয়। বিশেষ চাহিদার কারণেই বোর্ড সরাসরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গভর্নরকে পাঠানো চেয়ারম্যানের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ১২ মে থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদটি শূন্য। তখন থেকে ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ও যোগ্যতম কর্মকর্তাকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের মতো একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক না থাকার বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। ফলে এ নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা রয়েছে, যার অবসান হওয়া জরুরি বলে বোর্ড উপলব্ধি করছে। অনিবার্য কারণে এতদিন বোর্ড সভা না হওয়ায় এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করা সময়সাপেক্ষ, তাই গ্রামীণ ব্যাংক আইনের অধীনে প্রণীত বিধির ১৪ ধারার ৫ উপবিধি অনুসারে ব্যাংকের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত এমডি বাবুল সাহাকে এমডির পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে পরিচালকমণ্ডলীর সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আাগামী বছরের ২ আগস্ট বাবুল সাহার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হবে। তাই তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হলে বিদ্যমান আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। এজন্য গত দুই আগস্ট থেকে বাবুল সাহার অবসরজনিত ছুটি বাতিল করেছে পরিচালনা পর্ষদ। এমতাবস্থায় বাবুল সাহাকে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে এমডির পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার অনুমোদন দিতে গভর্নরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩-এর আলোকে ব্যাংকটি পরিচালিত হয়ে আসছিল ২০১২ সাল পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে সরকার এটি রোহিত করে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ নামে সংশোধন করে। তখন থেকেই ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালিত হয়ে আসছে।
সংশোধিত আইনে গ্রামীণ ব্যাংকের পর্ষদে সরকার মনোনীত তিন সদস্য পরিচালক হিসেবে থাকবেন। এই তিনজনের মধ্য থেকেই একজন হবেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তাও সরকার নির্ধারণ করবে। বাকি ৯ জন পরিচালক হবেন গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা-শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে।
ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে বাবুল সাহার নিয়োগ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণের তারিখ থেকেই বাবুল সাহাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ধরা হবে।

তথ্যসূত্র: শেয়ারবিজ