১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

হল ছাড়তে বলল প্রশাসন, সিদ্ধান্তে অনড় শিক্ষার্থীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৩০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ছেড়ে দিতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেছেন সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন। তবে হল প্রশাসনের এমন আহ্বানে সাড়া না দিয়ে হলেই অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছেন  প্রাধ্যক্ষরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি বৈঠক করছি। বৈঠক শেষে আমরা প্রতিটি হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলব। তারা আমাদের প্রস্তাব না মানলে পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী সোলাইমান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরশু হামলার ঘটনার পর স্থানীয় এলাকায় আমাদের নিরাপত্তা নেই। স্থানীয় বাসা মালিকরা আমাদের বাসা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্দেশ আমাদের হতাশ করছে। একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকাটা মানায় না বরং তাদের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের কথা ভাবা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের জন্য অনুরোধ করেছি। তারা হল ছাড়তে রাজি হয়নি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে।

এর আগে রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া এক বিজ্ঞপ্তিতে হল ত্যাগ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে স্থানীয়রা। এ হামলায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের এমন সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।

হামলা ও সংঘর্ষের পরে স্থানীয় মেসগুলোতে অবস্থান করতে ‘নিরাপত্তার অভাব’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের নির্দেশনা ছাড়া হল খোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপরই সবগুলো আবাসিক হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

হল ছাড়তে বলল প্রশাসন, সিদ্ধান্তে অনড় শিক্ষার্থীরা

আপডেট: ০১:৩০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ছেড়ে দিতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেছেন সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন। তবে হল প্রশাসনের এমন আহ্বানে সাড়া না দিয়ে হলেই অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছেন  প্রাধ্যক্ষরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি বৈঠক করছি। বৈঠক শেষে আমরা প্রতিটি হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলব। তারা আমাদের প্রস্তাব না মানলে পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী সোলাইমান কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরশু হামলার ঘটনার পর স্থানীয় এলাকায় আমাদের নিরাপত্তা নেই। স্থানীয় বাসা মালিকরা আমাদের বাসা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্দেশ আমাদের হতাশ করছে। একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকাটা মানায় না বরং তাদের উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের কথা ভাবা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের জন্য অনুরোধ করেছি। তারা হল ছাড়তে রাজি হয়নি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে।

এর আগে রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া এক বিজ্ঞপ্তিতে হল ত্যাগ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে স্থানীয়রা। এ হামলায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের এমন সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।

হামলা ও সংঘর্ষের পরে স্থানীয় মেসগুলোতে অবস্থান করতে ‘নিরাপত্তার অভাব’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের নির্দেশনা ছাড়া হল খোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপরই সবগুলো আবাসিক হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

 

আরও পড়ুন: