০৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

হাত-পা ঝিনঝিন করার কারণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৫৩ বার দেখা হয়েছে

হাতে বা পায়ে ‘ঝিন ঝিন ধরা’ বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই পরিচিত। সাধারণত পা বা হাতের ওপর লম্বা সময় চাপ পড়লে সাময়িক যে অসাড় অনুভূতি তৈরি হয় সেটিকেই আমরা ঝি ঝি ধরা বলে থাকি।

এই উপসর্গটির কেতাবি নাম ‘টেম্পোরারি প্যারেসথেসিয়া’, ইংরেজিতে এটিকে ‘পিনস অ্যান্ড নিডলস’ও বলা হয়ে থাকে।

কেউ কেউ বলেন রাতে এক দিকে কাত হয়ে শুলে খানিকক্ষণ পর ওই পাশের হাত ও পা ঝিনঝিন বা অবশ-অবশ অনুভূত হয় তার পর শোয়া থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে স্বাভাবিক হয়ে যায়, যে কারণে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে হাতে কোনো জিনিস কিছু সময় ধরে রাখলে হাত ঝিনঝিন করে, কিছুক্ষণ পর আর ধরে রাখতে পারেন না, এমনকি মোবাইলে কথা বলার সময় বেশিক্ষণ মোবাইলটি কানে ধরে রাখতে পারেন না

আসুন আমরা জেনে নিই কী কী কারণে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন কারণে আমাদের হাত অথবা পায়ে ঝিনঝিন বা অবশ-অবশ অনুভূত হতে পারে। যেমন- 

* আমাদের হাত ও পায়ের রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে।

* যাদের সারভাইক্যাল স্পাইন বা ঘাড় এবং লাম্বার স্পাইন বা কোমরে নার্ভ বা স্নায়ুর ওপর চাপ লেগে থাকলে। 

* শোয়ার বিছানা বেশি নরম হলে। 

* তা ছাড়াও কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে-সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, কারপাল টানেল সিনড্রোম, লাম্বার স্পনডাইলোসিস, ভেরিকোজ ভেইন বা ডিপ ভেইন থ্রোম্বোসিস, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, মটর-নিউরন ডিজিজ ইত্যাদি।

* ভিটামিন বা মিনারেলের অভাবজনিত কারণে।

অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে এ ধরনের সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দেয় না, যার ফলে রোগটি পরে মারাত্মক আকার ধারণ করে তখন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কারণ প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ উত্তম।

শেয়ার করুন

x
English Version

হাত-পা ঝিনঝিন করার কারণ

আপডেট: ১২:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

হাতে বা পায়ে ‘ঝিন ঝিন ধরা’ বিষয়টি নিয়ে আমরা সবাই পরিচিত। সাধারণত পা বা হাতের ওপর লম্বা সময় চাপ পড়লে সাময়িক যে অসাড় অনুভূতি তৈরি হয় সেটিকেই আমরা ঝি ঝি ধরা বলে থাকি।

এই উপসর্গটির কেতাবি নাম ‘টেম্পোরারি প্যারেসথেসিয়া’, ইংরেজিতে এটিকে ‘পিনস অ্যান্ড নিডলস’ও বলা হয়ে থাকে।

কেউ কেউ বলেন রাতে এক দিকে কাত হয়ে শুলে খানিকক্ষণ পর ওই পাশের হাত ও পা ঝিনঝিন বা অবশ-অবশ অনুভূত হয় তার পর শোয়া থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে স্বাভাবিক হয়ে যায়, যে কারণে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে হাতে কোনো জিনিস কিছু সময় ধরে রাখলে হাত ঝিনঝিন করে, কিছুক্ষণ পর আর ধরে রাখতে পারেন না, এমনকি মোবাইলে কথা বলার সময় বেশিক্ষণ মোবাইলটি কানে ধরে রাখতে পারেন না

আসুন আমরা জেনে নিই কী কী কারণে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন কারণে আমাদের হাত অথবা পায়ে ঝিনঝিন বা অবশ-অবশ অনুভূত হতে পারে। যেমন- 

* আমাদের হাত ও পায়ের রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে।

* যাদের সারভাইক্যাল স্পাইন বা ঘাড় এবং লাম্বার স্পাইন বা কোমরে নার্ভ বা স্নায়ুর ওপর চাপ লেগে থাকলে। 

* শোয়ার বিছানা বেশি নরম হলে। 

* তা ছাড়াও কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে-সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, কারপাল টানেল সিনড্রোম, লাম্বার স্পনডাইলোসিস, ভেরিকোজ ভেইন বা ডিপ ভেইন থ্রোম্বোসিস, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, মটর-নিউরন ডিজিজ ইত্যাদি।

* ভিটামিন বা মিনারেলের অভাবজনিত কারণে।

অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে এ ধরনের সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দেয় না, যার ফলে রোগটি পরে মারাত্মক আকার ধারণ করে তখন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কারণ প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ উত্তম।