০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

২০২২ থেকে শুল্ক কর পরিশোধে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

২০২২ সাল থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য চালানের বিপরীতে সব পরিমাণ শুল্ক কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশােধ করা বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রোববার (০৭ মার্চ) এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আমদানি- রফতানি পণ্য চালানের বিপরীতে দুই লাখ টাকার বেশি শুল্ক কর এবং ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে সব পরিমাণ শুল্ক কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশােধ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কমলাপুরের আইসিডি ও ঢাকা কাস্টম হাউজে ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সব ধরনের বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে। এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে। ওই বছরের জুলাই থেকে দেশের সব শুল্ক হাউস ও শুল্ক স্টেশনে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক-কর হলে ই-পেমেন্ট করতে হবে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে শুল্ক-কর পরিশোধের সীমা থাকবে না। এর পাশাপাশি অন্যান্য মাশুলও ই-পেমেন্টের আওতায় চলে আসবে।

২০১৭ সালে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু তার কাঙ্ক্ষিত সুফল গত দুই বছরে মেলেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়া গেছে। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে অর্থ পরিশোধ করা যায়। ফলে আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নির্বিঘ্নে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে আমদানি-রফতানি পর্যায়ে শুল্ক-কর পরিশোধে জালিয়াতির ঝুঁকি কমে যাবে। কিছু পণ্য রফতানিতেও শুল্ক দিতে হয়।

আমদানিকারকেরা ই-পেমেন্ট করলে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতাও কমে যাবে বলে মনে করে শুল্ক কর্মকর্তারা।

 

আরও পড়ু্ন:

শেয়ার করুন

x
English Version

২০২২ থেকে শুল্ক কর পরিশোধে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক

আপডেট: ০৬:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

২০২২ সাল থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য চালানের বিপরীতে সব পরিমাণ শুল্ক কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশােধ করা বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রোববার (০৭ মার্চ) এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আমদানি- রফতানি পণ্য চালানের বিপরীতে দুই লাখ টাকার বেশি শুল্ক কর এবং ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে সব পরিমাণ শুল্ক কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশােধ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কমলাপুরের আইসিডি ও ঢাকা কাস্টম হাউজে ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে সব ধরনের বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে। এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে। ওই বছরের জুলাই থেকে দেশের সব শুল্ক হাউস ও শুল্ক স্টেশনে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক-কর হলে ই-পেমেন্ট করতে হবে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে শুল্ক-কর পরিশোধের সীমা থাকবে না। এর পাশাপাশি অন্যান্য মাশুলও ই-পেমেন্টের আওতায় চলে আসবে।

২০১৭ সালে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু তার কাঙ্ক্ষিত সুফল গত দুই বছরে মেলেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়া গেছে। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে অর্থ পরিশোধ করা যায়। ফলে আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নির্বিঘ্নে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে আমদানি-রফতানি পর্যায়ে শুল্ক-কর পরিশোধে জালিয়াতির ঝুঁকি কমে যাবে। কিছু পণ্য রফতানিতেও শুল্ক দিতে হয়।

আমদানিকারকেরা ই-পেমেন্ট করলে দ্রুত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতাও কমে যাবে বলে মনে করে শুল্ক কর্মকর্তারা।

 

আরও পড়ু্ন: