০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

২০২২ সাল পর্যন্ত কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় বিএমবিএ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • / ৪৮৮৭ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ আরও এক বছর বাড়াতে চায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষে সভাপতি ছায়েদুর রহমান এ অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে কালো টাকা বিনিয়োগে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বেড়েছে। নির্ধারিত এই কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি এবং এর পাশাপাশি মেয়াদ আরও এক বছর (২০২১-২০২২ অর্থবছর) বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।

আলোচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ও মার্চেন্ট ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ও সংগঠনের পক্ষে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্পোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করা; লেনদেনের ওপর কর হার আগের অবস্থায় অর্থাৎ শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হার নির্ধারণ করা; তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে গেট হার ১০ শতাংশ করা এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার কমিয়ে ২০ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে ছায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বৃহৎ কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ। যা হতাশাজনক। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৩টি মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মরত আছে। পুঁজিবাজারের ধীরগতি, কোভিড-১৯ ব্যবসার সীমাবদ্ধতা থাকায় বেশির ভাগ মার্চেন্ট ব্যাংক অপারেটিং চালানােই সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কর্পোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অনেক। এনবিআর তাদের প্রস্তাবনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আগামী বাজেটে প্রস্তাবগুলো গুরুত্বসহ পর্যালোচনা করবে। আমরা রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে চাইছি, এজন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করছি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়বে।

সভায় এনবিআরের আয়কর নীতি’র সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

২০২২ সাল পর্যন্ত কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় বিএমবিএ

আপডেট: ০৩:০৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ আরও এক বছর বাড়াতে চায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষে সভাপতি ছায়েদুর রহমান এ অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে কালো টাকা বিনিয়োগে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বেড়েছে। নির্ধারিত এই কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি এবং এর পাশাপাশি মেয়াদ আরও এক বছর (২০২১-২০২২ অর্থবছর) বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।

আলোচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ও মার্চেন্ট ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ও সংগঠনের পক্ষে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্পোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করা; লেনদেনের ওপর কর হার আগের অবস্থায় অর্থাৎ শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হার নির্ধারণ করা; তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে গেট হার ১০ শতাংশ করা এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার কমিয়ে ২০ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে ছায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বৃহৎ কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ। যা হতাশাজনক। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৩টি মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মরত আছে। পুঁজিবাজারের ধীরগতি, কোভিড-১৯ ব্যবসার সীমাবদ্ধতা থাকায় বেশির ভাগ মার্চেন্ট ব্যাংক অপারেটিং চালানােই সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কর্পোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অনেক। এনবিআর তাদের প্রস্তাবনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আগামী বাজেটে প্রস্তাবগুলো গুরুত্বসহ পর্যালোচনা করবে। আমরা রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে চাইছি, এজন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করছি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়বে।

সভায় এনবিআরের আয়কর নীতি’র সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন: