০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

২২ বছরের মধ্যে ১৬ বছরই লাভে ছিল রবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
  • / ৪১৭০ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড বিগত বছরগুলোতে ব্যাবসায়ে খুব ভালো সময় পার করেছে। কোম্পানিটি ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২২ বছরের মধ্যে ১৬ বছরই লাভ করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) কোম্পানিটির ২০২০ সালে জুলাই- ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

করোনার সময়ে রবি সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছে। বর্তমানে রবি আজিয়াটা নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করছে। রবি শিক্ষার্থীদের জন্য কম খরচে যে ডাটা দিয়েছে তা এর চেয়ে কম রেটে দেওয়া সম্ভব নয়। রবির এমন ভালো কাজের প্রতিদান হিসেবে পেয়েছে এওয়ার্ড। যা তাদেরকে অনুপ্রেরণা যোগায় বলে মন্তব্য করেন কোম্পানিটির এমডি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন দুই শতাংশ হারে রেভিনিউ’র (রাজস্ব) উপর টার্নওভার ট্যাক্স দেওয়ার ফলে সরকারকে ৭৭ শতাংশ কর দিতে হয়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে গ্রামীণফোন ৪০-৪৫ শতাংশ কর দেয়। আর রবিকে কর দিতে ৭৭ শতাংশ, এটা কমানোর দাবি জানাচ্ছি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও)তে আসার আগে সরকারের পক্ষ থেকে কর কামানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আশা করছি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এটা কমিয়ে আনবে।

মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, রবি হল একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাকে পুঁজিবাজারে আসার পরও সবচেয়ে বেশি হারে কর দিতে হচ্ছে। এই খাতের কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১০ শতাংশ হারে করপোরেট কর কমানো হয়েছে। আর রবির ক্ষেত্রে কমানো হচ্ছে ৫ শতাংশ।

অর্থাৎ রবিকে ৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর বেশি দিতে হচ্ছে। এই ৫ শতাংশ কর কমনোর কথা থাকলেও কমানো হয়নি।’

তিনি বলেন, তবে সচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে গ্রামীণফোন লভ্যাংশের উপর ৪০ শতাংশ হারে কর দেয়। আর আমাদেরকে কর দিতে হচ্ছে রেভিনিউ’র উপরে। প্রতিবছর আমাদের রেভিনিউ হয় ৭ হাজার কোটি টাকা। আর সেখানে ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স দিলে সরকারকে দিতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৪০ কোটি টাকা।

দেশের কর ব্যবস্থায় এই বৈষম্য দেখে বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহী হবে উল্লেখ করে মাহতাব উদ্দিন

বলেন, শুধু টেলিযোগাযোগ খাতে কেন অন্য কোনো খাতে বিদেশি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে না এই কর ব্যবস্থার কারণে।

বর্তমানে ৯৭ শতাংশ গ্রাহক ফোর-জির আওতায় চলে এসেছে। দ্রুতই শতভাগ গ্রাহক ফোর-জির আওতায় চলে আসবে। কোভিডের কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমলেও এখন সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছে। সামনে ব্যবসা ভালো হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রবির কর্মকর্তা শাহেদ আলম এবং রুহুল আমীন তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

শেয়ার করুন

x
English Version

২২ বছরের মধ্যে ১৬ বছরই লাভে ছিল রবি

আপডেট: ০৪:১৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড বিগত বছরগুলোতে ব্যাবসায়ে খুব ভালো সময় পার করেছে। কোম্পানিটি ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২২ বছরের মধ্যে ১৬ বছরই লাভ করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) কোম্পানিটির ২০২০ সালে জুলাই- ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

করোনার সময়ে রবি সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছে। বর্তমানে রবি আজিয়াটা নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করছে। রবি শিক্ষার্থীদের জন্য কম খরচে যে ডাটা দিয়েছে তা এর চেয়ে কম রেটে দেওয়া সম্ভব নয়। রবির এমন ভালো কাজের প্রতিদান হিসেবে পেয়েছে এওয়ার্ড। যা তাদেরকে অনুপ্রেরণা যোগায় বলে মন্তব্য করেন কোম্পানিটির এমডি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন দুই শতাংশ হারে রেভিনিউ’র (রাজস্ব) উপর টার্নওভার ট্যাক্স দেওয়ার ফলে সরকারকে ৭৭ শতাংশ কর দিতে হয়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে গ্রামীণফোন ৪০-৪৫ শতাংশ কর দেয়। আর রবিকে কর দিতে ৭৭ শতাংশ, এটা কমানোর দাবি জানাচ্ছি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও)তে আসার আগে সরকারের পক্ষ থেকে কর কামানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আশা করছি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এটা কমিয়ে আনবে।

মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, রবি হল একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাকে পুঁজিবাজারে আসার পরও সবচেয়ে বেশি হারে কর দিতে হচ্ছে। এই খাতের কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১০ শতাংশ হারে করপোরেট কর কমানো হয়েছে। আর রবির ক্ষেত্রে কমানো হচ্ছে ৫ শতাংশ।

অর্থাৎ রবিকে ৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর বেশি দিতে হচ্ছে। এই ৫ শতাংশ কর কমনোর কথা থাকলেও কমানো হয়নি।’

তিনি বলেন, তবে সচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে গ্রামীণফোন লভ্যাংশের উপর ৪০ শতাংশ হারে কর দেয়। আর আমাদেরকে কর দিতে হচ্ছে রেভিনিউ’র উপরে। প্রতিবছর আমাদের রেভিনিউ হয় ৭ হাজার কোটি টাকা। আর সেখানে ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স দিলে সরকারকে দিতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৪০ কোটি টাকা।

দেশের কর ব্যবস্থায় এই বৈষম্য দেখে বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহী হবে উল্লেখ করে মাহতাব উদ্দিন

বলেন, শুধু টেলিযোগাযোগ খাতে কেন অন্য কোনো খাতে বিদেশি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে না এই কর ব্যবস্থার কারণে।

বর্তমানে ৯৭ শতাংশ গ্রাহক ফোর-জির আওতায় চলে এসেছে। দ্রুতই শতভাগ গ্রাহক ফোর-জির আওতায় চলে আসবে। কোভিডের কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমলেও এখন সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠছে। সামনে ব্যবসা ভালো হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রবির কর্মকর্তা শাহেদ আলম এবং রুহুল আমীন তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।