গণহত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২৫শে মার্চের রাতে ঢাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। ২৮ মার্চ দুপুরের দিকে শহরের কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়। ঢাকা তখনও আতঙ্কের নগরী।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নাল–বিজনেসজার্নাল.বিডি
এদিন কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, দুদিনে বাংলার প্রায় এক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।দুদিন বন্ধ থাকার পর ২৮ মার্চ ‘দ্য পাকিস্তান অবজারভার’ প্রকাশি হয় ২৮ মার্চ। পাকিস্তানি সরকারের বিভিন্ন প্রেস নোট আর সরকারি খবরে ভরা ছিল চার পৃষ্ঠার সেই কাগজ।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ২৬ মার্চের বেতার ভাষণের পুরোটা অবজারভার সেদিন ছাপে। ছোট্ট করে বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তারের খবরও ছাপা হয়। এদিন প্রথমবার আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার প্রতিবাদে এবং স্বাধীনতার দাবিতে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি। লন্ডনের সেই সমাবেশে অংশ নেন বিদেশিরাও।
চট্টগ্রামের দক্ষিণ থেকে বালুচ রেজিমেন্ট, উত্তর থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাস এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে অগ্রসরমান পাকিস্তানি সেনাদের হামলায় বাঙালি সেনা, ইপিআর, পুলিশ ও জনতার প্রতিরোধ ব্যূহ টিকতে পারেনি। তাদের পিছিয়ে আসার কৌশল নিতে হয়। পাকিস্তানি নৌবাহিনী চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে গোলা নিক্ষেপ করে তাদের নৌবহর থেকে। নৌবন্দর এলাকায় পাকিস্তানিরা বাঙালি নৌসেনাদের নিরস্ত্র করে হত্যা করে।
পুরান ঢাকায় জগন্নাথ কলেজ সংলগ্ন পরিত্যক্ত ভবনে বাঙালি শিক্ষক, শিল্পী, হোটেল কর্মচারী, শিল্পীসহ ৮৮ জনকে হত্যা করা হয়। বিউটি বোর্ডিং, প্যারিদাস রোড, ফরাশগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব বাঙালিকে ধরে আনা হয়। ইংলিশ রোড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আগুনে পোড়া মরদেহ ও আগুনের ধোঁয়া তখনও দেখা যাচ্ছিল। সিলেটে এমসি কলেজের কাছ চা শ্রমিকদের হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। খাদিমনগরে চা বাগান শ্রমিকদের আগুনে পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তারা।
রংপুর শহর ও সেনানিবাসের পাশের এলাকার বাঙালিরা দেশি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সেনাছাউনি আক্রমণে এগিয়ে যায়। অসংখ্য সাঁওতাল এই প্রতিরোধে অংশ নেন। পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হয় শতাধিক। সাঁওতালদের ছোঁড়া তীরে নিহত হয় কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য।
এদিন যুদ্ধ শুরু হয় পাবনা শহরেও। সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করায় ১০ জনকে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। পরে তারা টেলিফোন এক্সচেঞ্জে আশ্রয় নেয়। সংগ্রামী জনতা সে জায়গা ঘিরে ফেলে। সেখানে গোলাগুলি হয়। সব পাকিস্তানি সৈন্য মারা যায়।
নোয়াখালীতে আবদুল মালেক উকিলের নেতৃত্বে ইপিআর ও আনসার সদস্যদের সংগঠিত করা হয়। সমগ্র নোয়াখালীতে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী ‘৭১ এর দশমাস’, জাহানারা ইমাম ‘একাত্তরের দিনগুলি’
বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ
আরও পড়ুন:
- আগামীকাল দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন চালু
- ওয়ান ব্যাংকের ডিভিডেন্ড আসছে বিকালে
- ঢাকার রাস্তায় পুলিশের অবস্থান, যান চলাচল কিছুটা কম
- হরতাল সমর্থকদের দখলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- শাহজালাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা
- করোনায় ব্যাংকের ব্যয় কমেছে সিএসআর খাতে
- যুক্তরাষ্ট্রের এসআইজি ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে বিডি ফাইন্যান্সে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- বৈঠকে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী
- করোনায় মারা গেলেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা নমিতা ঘোষ
- সরকারের নমনীয়তা দুর্বলতা নয়: তথ্যমন্ত্রী
- বাংলাদেশকে ২১২৫ কোটি টাকা দিল বিশ্বব্যাংক
- যে ৭ উপায়ে রমজানের প্রস্তুতি নেবেন
- সাহরির যেসব মাসাআলা জেনে রাখা জরুরি
- সরকারি ৮ ব্যাংকে বড় নিয়োগ আসছে