০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

৭ বছরের সর্বোচ্চ উত্থানেও পুঁজি ফিরে পাননি বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৪৬৯ বার দেখা হয়েছে

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৯ জানুয়ারি) কৌশলে টেনে পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ানো হয়েছে। এদিন রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক দরপতন ঠেকাতে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি বাংলাদেশসহ বড় মূলধনীর শেয়ারে বিনিয়োগ করে। আর তাতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বাড়ে ২৩২ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক বাড়ে ৮৭৭ পয়েন্ট।

বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ব্রাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস এবং বেক্সিমকো ফার্মা ইত্যাদি।

এই কোম্পানিগুলো ১৩০ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। সূচকের পাশাপাশি বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও রোববার সেই হারে হারানো পুঁজি ফিরে পায়নি বিনিয়োগকারীরা।

ডিএসইর তথ্যমতে, গত ৬ জানুয়ারি ডিএসইর সূচক ছিলো ৪ হাজার ৩৩১ পয়েন্ট। সেই দিন পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ছিল ২৫৭ টাকা। আর ১২ দিন পর ডিএসইর সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে । কিন্তু গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ২৬৩ টাকা। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের শেয়ারে এখনো বিনিয়োগকারীদের লস ১০ টাকা।

একইভাবে ৬ জানুয়ারি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোট কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৪৫ টাকা। আর ১৯ জানুয়ারি রোববার সেই শেয়ারের সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪৩ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম এখনো ২ টাকা কম।

এই দুটি কোম্পানির মতই বড় কিংবা ছোট মূলধনী কোম্পানিগুলোর সূচক বাড়লেও। তার সঙ্গে সমানভাবে বাড়েনি মূলধন। এ কারণে ৬ জানুয়ারি রোববার সূচক ৫০ পয়েন্টে বেশি হলেও বিনিয়োগকারীদের মূলধন এখনো ৮৪৩ কোটি ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা কম। অর্থাৎ সূচক বৃদ্ধির ছিলো অস্বাভাবিক। এ কারণে সূচকের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বাড়েনি।

নূরুল আলম সিদ্দিকী সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী বলেন, রোববার পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক উত্থান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার কিনেছে। তাই সূচক বেড়েছে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে উত্থান পতন হবেই। তাই বলে বাজারের ওপর হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই ঠিক না। এতে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর ছয় উদ্যোগের ফলে রোববার ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৩২ পয়েন্টে। যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সূচক বৃদ্ধি।এদিন সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ১৫ হাজার ১৮৫ কোটি ৭৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

সংবাদ সূত্র: বার্তা২৪ ডটকম।

শেয়ার করুন

x
English Version

৭ বছরের সর্বোচ্চ উত্থানেও পুঁজি ফিরে পাননি বিনিয়োগকারীরা

আপডেট: ১১:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৯ জানুয়ারি) কৌশলে টেনে পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ানো হয়েছে। এদিন রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক দরপতন ঠেকাতে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি বাংলাদেশসহ বড় মূলধনীর শেয়ারে বিনিয়োগ করে। আর তাতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বাড়ে ২৩২ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক বাড়ে ৮৭৭ পয়েন্ট।

বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ব্রাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস এবং বেক্সিমকো ফার্মা ইত্যাদি।

এই কোম্পানিগুলো ১৩০ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। সূচকের পাশাপাশি বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও রোববার সেই হারে হারানো পুঁজি ফিরে পায়নি বিনিয়োগকারীরা।

ডিএসইর তথ্যমতে, গত ৬ জানুয়ারি ডিএসইর সূচক ছিলো ৪ হাজার ৩৩১ পয়েন্ট। সেই দিন পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ছিল ২৫৭ টাকা। আর ১২ দিন পর ডিএসইর সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে । কিন্তু গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ২৬৩ টাকা। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের শেয়ারে এখনো বিনিয়োগকারীদের লস ১০ টাকা।

একইভাবে ৬ জানুয়ারি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোট কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৪৫ টাকা। আর ১৯ জানুয়ারি রোববার সেই শেয়ারের সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪৩ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম এখনো ২ টাকা কম।

এই দুটি কোম্পানির মতই বড় কিংবা ছোট মূলধনী কোম্পানিগুলোর সূচক বাড়লেও। তার সঙ্গে সমানভাবে বাড়েনি মূলধন। এ কারণে ৬ জানুয়ারি রোববার সূচক ৫০ পয়েন্টে বেশি হলেও বিনিয়োগকারীদের মূলধন এখনো ৮৪৩ কোটি ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা কম। অর্থাৎ সূচক বৃদ্ধির ছিলো অস্বাভাবিক। এ কারণে সূচকের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বাড়েনি।

নূরুল আলম সিদ্দিকী সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী বলেন, রোববার পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক উত্থান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার কিনেছে। তাই সূচক বেড়েছে।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে উত্থান পতন হবেই। তাই বলে বাজারের ওপর হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই ঠিক না। এতে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর ছয় উদ্যোগের ফলে রোববার ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৩২ পয়েন্টে। যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সূচক বৃদ্ধি।এদিন সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ১৫ হাজার ১৮৫ কোটি ৭৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

সংবাদ সূত্র: বার্তা২৪ ডটকম।