০৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারে আসছে গ্রীণ বন্ড’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪২৪৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দ্রুতই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারে ‘গ্রীণ বন্ড’ নিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত- উল- ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটে আয়োজিত ‘ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০২১’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

 

তিনি বলেন, সব সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন আগের চেয়ে ভালো করছে। স্বাধীনতার প্রথম ৩০ বছরে আমরা আশানুরূপ উন্নতি করতে পারিনি তাই এখন আমাদের দ্বিগুন গতিতে এগোতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এধরণের সম্মেলন থেকে যেসব অ্যাকশন প্ল্যান আসবে তা নিয়ে আমাদের কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে।

উদ্বোধনী পর্বের সেশন চেয়ার হিসেবে ছিলেন বিআইসিএমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্লোবাল গ্রীন গ্রোথ ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ফ্রাঙ্ক রিজবারম্যান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরক্ত সচিব মফিজ উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের ব্যবস্থা করে তাই পুঁজিবাজারই হলো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল ভরসা। মার্কেটের দক্ষতা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে গুড ডিসক্লোজার এর ব্যবস্থা করতে হবে।

ভালো প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটে আনতে প্রতিযোগিতামূলক প্রাইসিং নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে টেকসই অর্থনীতির জন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোটিং এবং কর্পোরেট গর্ভনেন্স এর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সাবেক এ গভর্নর আরো বলেন, রেগুলেটরদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস ইনস্যুরেন্স এবং পেনশন ফান্ড দুর্বল, তাই এক্ষেত্রে আমাদের জোর দেয়া উচিত।

মফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে। কিন্তু মানবসম্পদ রয়েছে। এ উভয় সম্পদের সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে।’

ঢাকা/এনইউ

শেয়ার করুন

x
English Version

‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারে আসছে গ্রীণ বন্ড’

আপডেট: ০৫:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দ্রুতই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারে ‘গ্রীণ বন্ড’ নিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত- উল- ইসলাম।

মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটে আয়োজিত ‘ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০২১’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

 

তিনি বলেন, সব সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন আগের চেয়ে ভালো করছে। স্বাধীনতার প্রথম ৩০ বছরে আমরা আশানুরূপ উন্নতি করতে পারিনি তাই এখন আমাদের দ্বিগুন গতিতে এগোতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এধরণের সম্মেলন থেকে যেসব অ্যাকশন প্ল্যান আসবে তা নিয়ে আমাদের কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে।

উদ্বোধনী পর্বের সেশন চেয়ার হিসেবে ছিলেন বিআইসিএমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্লোবাল গ্রীন গ্রোথ ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ফ্রাঙ্ক রিজবারম্যান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরক্ত সচিব মফিজ উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের ব্যবস্থা করে তাই পুঁজিবাজারই হলো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের মূল ভরসা। মার্কেটের দক্ষতা নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে গুড ডিসক্লোজার এর ব্যবস্থা করতে হবে।

ভালো প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটে আনতে প্রতিযোগিতামূলক প্রাইসিং নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে টেকসই অর্থনীতির জন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোটিং এবং কর্পোরেট গর্ভনেন্স এর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সাবেক এ গভর্নর আরো বলেন, রেগুলেটরদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, দেশে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস ইনস্যুরেন্স এবং পেনশন ফান্ড দুর্বল, তাই এক্ষেত্রে আমাদের জোর দেয়া উচিত।

মফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে। কিন্তু মানবসম্পদ রয়েছে। এ উভয় সম্পদের সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে।’

ঢাকা/এনইউ