০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় আইফোনে বিপদ বেশি!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০২৬৫ বার দেখা হয়েছে

নিজেদের নিরাপত্তা সুবিধা বিষয়ে সব সময় আলোচনা করে অ্যাপল। সেই সঙ্গে তা কীভাবে আইফোন ব্যবহারকারীদের রক্ষা করে, সেই বিষয় নিয়েও কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু নতুন একটি রিপোর্টে জানা যায়, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের তুলনায় আইওএসকে সহজেই নিশানা বানিয়ে ফেলছে হ্যাকাররা। যার ফলে নিজেদের ডাটা বা তথ্য নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন লাখ লাখ ব্যবহারকারী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

লুকআউটের সিকিউরিটি অ্যানালিস্টদের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইফোনের তুলনায় বেশি সংখ্যায় বিক্রি হয় অ্যান্ড্রয়েড। ফলে হ্যাকাররা খুব সহজেই আইফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। এতেই উদ্বেগে রয়েছে অ্যাপল ব্যবহারকারীরা।

আইওএস হ্যাকারদের নিশানায়, কিন্তু কেন?
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আইওএস ডিভাইস এন্টারপ্রাইস সেগমেন্টের পছন্দের তালিকায় থাকে। ফলে তা ফিশিং অ্যাটাকের টার্গেটে থাকছে। এমনকী কিউ৩ ২০২৪ রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ১৮.৪ শতাংশ কিউ৩ ২০২৪ কে টার্গেট করা হচ্ছে, যেখানে মাত্র ১১.৪ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস হ্যাকারদের নিশানার মুখে থাকে।

এই সমস্ত ডিভাইস হ্যাক করার চেষ্টার অর্থ হল, পাসওয়ার্ড, ইউজারনেমের মতো ডাটা অতি ঝুঁকির মুখে থাকে। তাই ব্যবহারকারীদের আরো বেশি করে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নিজেদের অফিসিয়াল ডিভাইসে কীসে ক্লিক করা হচ্ছে, বা কোন লিংক ওপেন করা হচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। আইফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত আইওএস আপডেটের বিটা ভার্সন ইনস্টল করে থাকেন। অথচ এটি এই ডিভাইসগুলোর জন্য উপযুক্ত নয়। আসলে পাবলিক ভার্সনের তুলনায় এর সিকিউরিটি লেভেল অনেকটাই কম।

আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ

ফিশিং অ্যাটাকও এখনকার দিনে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুধুমাত্র এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের তীব্রতা সম্পর্কে শঙ্কিত হওয়া দরকার, এমনটা একেবারেই নয়। কারণ যে কেউ অপিরিচিত নম্বর থেকে ই-মেইল পেতে পারেন। যেখানে আকর্ষণীয় অফার অথবা ডিল আসতে পারে। আর সেই ডিলের প্রলোভনে পা দিলেই বিপদ। কারণ অপরিচিত নম্বর থেকে আসা লিংকে ক্লিক করলেই হ্যাকাররা ডিভাইস এবং ডাটার অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। আর ঘুণাক্ষরেও বিপদের বিষয়ে টের পান না ব্যবহারকারীরা।

এদিকে চলতি বছর (২০২৫ সাল) এই ধরনের অ্যাটাক আরো বাড়তে চলেছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবিষ্কার। অ্যান্ড্রয়েড এবংআইওএস ব্যবহারকারীদের এই বিষয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে এই অ্যাটাকের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় আইফোনে বিপদ বেশি!

আপডেট: ০৩:৪০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

নিজেদের নিরাপত্তা সুবিধা বিষয়ে সব সময় আলোচনা করে অ্যাপল। সেই সঙ্গে তা কীভাবে আইফোন ব্যবহারকারীদের রক্ষা করে, সেই বিষয় নিয়েও কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু নতুন একটি রিপোর্টে জানা যায়, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের তুলনায় আইওএসকে সহজেই নিশানা বানিয়ে ফেলছে হ্যাকাররা। যার ফলে নিজেদের ডাটা বা তথ্য নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন লাখ লাখ ব্যবহারকারী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

লুকআউটের সিকিউরিটি অ্যানালিস্টদের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইফোনের তুলনায় বেশি সংখ্যায় বিক্রি হয় অ্যান্ড্রয়েড। ফলে হ্যাকাররা খুব সহজেই আইফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। এতেই উদ্বেগে রয়েছে অ্যাপল ব্যবহারকারীরা।

আইওএস হ্যাকারদের নিশানায়, কিন্তু কেন?
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আইওএস ডিভাইস এন্টারপ্রাইস সেগমেন্টের পছন্দের তালিকায় থাকে। ফলে তা ফিশিং অ্যাটাকের টার্গেটে থাকছে। এমনকী কিউ৩ ২০২৪ রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ১৮.৪ শতাংশ কিউ৩ ২০২৪ কে টার্গেট করা হচ্ছে, যেখানে মাত্র ১১.৪ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস হ্যাকারদের নিশানার মুখে থাকে।

এই সমস্ত ডিভাইস হ্যাক করার চেষ্টার অর্থ হল, পাসওয়ার্ড, ইউজারনেমের মতো ডাটা অতি ঝুঁকির মুখে থাকে। তাই ব্যবহারকারীদের আরো বেশি করে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নিজেদের অফিসিয়াল ডিভাইসে কীসে ক্লিক করা হচ্ছে, বা কোন লিংক ওপেন করা হচ্ছে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। আইফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত আইওএস আপডেটের বিটা ভার্সন ইনস্টল করে থাকেন। অথচ এটি এই ডিভাইসগুলোর জন্য উপযুক্ত নয়। আসলে পাবলিক ভার্সনের তুলনায় এর সিকিউরিটি লেভেল অনেকটাই কম।

আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ

ফিশিং অ্যাটাকও এখনকার দিনে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুধুমাত্র এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের তীব্রতা সম্পর্কে শঙ্কিত হওয়া দরকার, এমনটা একেবারেই নয়। কারণ যে কেউ অপিরিচিত নম্বর থেকে ই-মেইল পেতে পারেন। যেখানে আকর্ষণীয় অফার অথবা ডিল আসতে পারে। আর সেই ডিলের প্রলোভনে পা দিলেই বিপদ। কারণ অপরিচিত নম্বর থেকে আসা লিংকে ক্লিক করলেই হ্যাকাররা ডিভাইস এবং ডাটার অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। আর ঘুণাক্ষরেও বিপদের বিষয়ে টের পান না ব্যবহারকারীরা।

এদিকে চলতি বছর (২০২৫ সাল) এই ধরনের অ্যাটাক আরো বাড়তে চলেছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবিষ্কার। অ্যান্ড্রয়েড এবংআইওএস ব্যবহারকারীদের এই বিষয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে এই অ্যাটাকের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা/এসএইচ