আইএমএফ ঋণের কিস্তির অপেক্ষায় বাংলাদেশ

- আপডেট: ১০:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০২৮২ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পাবে কি না, তা মার্কিন ডলারের বিনিময় হার মুক্ত করার ওপর নির্ভর করছে। অর্থাৎ সরকারের উচিত বাজারের ওপর এটি ছেড়ে দেওয়া।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার আশা করছে বাংলাদেশ ঋণের কিস্তি পাবে, যদিও শর্ত নিয়ে আলোচনা এখনও চলমান। বাংলাদেশ মোট ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আইএমএফের কাছে আবেদন করেছে, যার মধ্যে ২.৩১ বিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যেই ছাড় হয়েছে এবং ২.৩৯ বিলিয়ন ডলার এখনো বাকি আছে।
আহসান এইচ মনসুর, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং আরও ১০ জন প্রতিনিধি বর্তমানে ওয়াশিংটনের বৈঠকে উপস্থিত আছেন, যা ২১ এপ্রিল শুরু হয় এবং আজ (২৬ এপ্রিল) শেষ হবে। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) সভার সাইডলাইনে আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল।
গভর্নর বলেন, আমাদের কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফল আসবে। তিনি আরও জানান, আইএমএফ মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিদেশি মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল। আমাদের কাছে ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে যথেষ্ট ডলারের সরবরাহ আছে। আমদানিতে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি।
গত বছর সেপ্টেম্বর, ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ আইএমএফের দেওয়া রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। যদিও গভর্নরের মতে যে ইউএমএফ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হবে তা নিয়ে তিনি পুরোপুরি একমত নন এবং এবং আশা করেন প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বেশি হবে।
আরও পড়ুন: তদন্ত প্রতিবেদনেও কারসাজির অভিযোগ!
আইএমএফের একটি মিশন দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছে ঋণের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি পর্যালোচনা করার জন্য। সফরের পর আইএমএফ কর্মকর্তারা ১৭ এপ্রিল বলেছিলেন, আলোচনা আরও চলবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুনের শেষ নাগাদ ঋণের কিস্তি ছাড় হতে পারে।
ঢাকা/টিএ