০৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি

আইনজীবীদের কর্মবিরতি-আন্দোলনে অচল চট্টগ্রাম আদালত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১০২১৩ বার দেখা হয়েছে

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজও উত্তাল চট্টগ্রামের আদালত পাড়া। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দুপুর ১টার দিকে আইনজীবীদের একটি মিছিল আদালত পাড়ার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় আইনজীবী সাইফুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনটির বিরুদ্ধে উগ্র কার্যকলাপে অভিযোগ তুলে নানা স্লোগান দেয় আইনজীবীরা।

এর আগে আইনজীবীদের সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে নীরব ছিল। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইসকনের অনুসারীরা আদালতে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা আদালত পাড়ায় মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এর প্রতিবাদ জানালে আইনজীবীদের ওপর চড়াও হয় ইসকনের অনুসারীরা। একপর্যায়ে অ্যাডভোকেট সাইফুলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারকে আল্টিমেটাম দিয়ে আইনজীবী নেতারা বলেন, ঘটনার পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা হত না। এটি পুলিশের ব্যর্থতা। দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আপনি পদে থাকতে পারবেন না।

এর আগে, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ডাকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। এদিন আদালতে কোনো প্রকার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কোনো আদালতে বিচারক এজলাসে বসেননি। এর আগে বুধবারও একই কর্মসূচি পালিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার: হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষ

২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন (মঙ্গলবার) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আইনজীবী সাইফুলকে দাফন করা হয়।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

ইসকন নিষিদ্ধের দাবি

আইনজীবীদের কর্মবিরতি-আন্দোলনে অচল চট্টগ্রাম আদালত

আপডেট: ০৩:০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজও উত্তাল চট্টগ্রামের আদালত পাড়া। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দুপুর ১টার দিকে আইনজীবীদের একটি মিছিল আদালত পাড়ার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় আইনজীবী সাইফুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনটির বিরুদ্ধে উগ্র কার্যকলাপে অভিযোগ তুলে নানা স্লোগান দেয় আইনজীবীরা।

এর আগে আইনজীবীদের সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে নীরব ছিল। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইসকনের অনুসারীরা আদালতে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা আদালত পাড়ায় মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এর প্রতিবাদ জানালে আইনজীবীদের ওপর চড়াও হয় ইসকনের অনুসারীরা। একপর্যায়ে অ্যাডভোকেট সাইফুলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারকে আল্টিমেটাম দিয়ে আইনজীবী নেতারা বলেন, ঘটনার পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা হত না। এটি পুলিশের ব্যর্থতা। দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আপনি পদে থাকতে পারবেন না।

এর আগে, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ডাকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। এদিন আদালতে কোনো প্রকার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কোনো আদালতে বিচারক এজলাসে বসেননি। এর আগে বুধবারও একই কর্মসূচি পালিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার: হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষ

২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন (মঙ্গলবার) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।

একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আইনজীবী সাইফুলকে দাফন করা হয়।

ঢাকা/এসএইচ