০২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

আগস্টে ঋণে ১০ শতাংশের বেশি সুদ নিয়েছে ১২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১২১ বার দেখা হয়েছে

চলতি বছরের আগস্ট মাসে ঋণে ১০ শতাংশের বেশি সুদ নিয়েছে ১২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান ঋণে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ সুদ নিতে পারে। আগস্টে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঋণে সবচেয়ে বেশি ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ করে সুদ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড ও লঙ্কা অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ, স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড ১১ দশমিক ০১ শতাংশ, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ সুদ নিয়েছে।

এদিকে ঋণে আভিভা ফাইন্যান্স ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ, হজ ফাইন্যান্স কোম্পানি ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, অনেক দুর্বল প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি সত্ত্বেও বেশি সুদে আমানত নিয়ে কম সুদে ঋণ দেয়। এ জন্য সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে দেশের ব্যাংকগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহারও নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ সুদে আমানত নিতে পারে। আর তাদের ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে: অর্থমন্ত্রী

এ ছাড়া অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণে আরও ১ শতাংশ তদারকি মাশুল যুক্ত করা যায়। ফলে এসব ঋণে সুদহার সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে ব্যাংকঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদহার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।

এরপর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণে বেঁধে দেওয়া ৯ শতাংশের সীমা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিপরীতে ইন্টারেস্ট রেট করিডরের মাধ্যমে ঋণের নতুন সুদহার নির্ধারণ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো ইন্টারেস্ট রেট করিডর কীভাবে বাস্তবায়ন করছে সে সম্পর্কে সম্প্রতি জানতে চেয়েছিলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

ঢাকা/এসএ

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

English Version

আগস্টে ঋণে ১০ শতাংশের বেশি সুদ নিয়েছে ১২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

আপডেট: ০৬:১৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলতি বছরের আগস্ট মাসে ঋণে ১০ শতাংশের বেশি সুদ নিয়েছে ১২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান ঋণে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ সুদ নিতে পারে। আগস্টে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঋণে সবচেয়ে বেশি ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ করে সুদ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড ও লঙ্কা অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ১১ দশমিক ০৩ শতাংশ, স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড ১১ দশমিক ০১ শতাংশ, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ সুদ নিয়েছে।

এদিকে ঋণে আভিভা ফাইন্যান্স ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ, হজ ফাইন্যান্স কোম্পানি ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, অনেক দুর্বল প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি সত্ত্বেও বেশি সুদে আমানত নিয়ে কম সুদে ঋণ দেয়। এ জন্য সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে দেশের ব্যাংকগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহারও নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ সুদে আমানত নিতে পারে। আর তাদের ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে: অর্থমন্ত্রী

এ ছাড়া অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণে আরও ১ শতাংশ তদারকি মাশুল যুক্ত করা যায়। ফলে এসব ঋণে সুদহার সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে ব্যাংকঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদহার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।

এরপর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণে বেঁধে দেওয়া ৯ শতাংশের সীমা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিপরীতে ইন্টারেস্ট রেট করিডরের মাধ্যমে ঋণের নতুন সুদহার নির্ধারণ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো ইন্টারেস্ট রেট করিডর কীভাবে বাস্তবায়ন করছে সে সম্পর্কে সম্প্রতি জানতে চেয়েছিলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

ঢাকা/এসএ

Print Friendly, PDF & Email