০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

আগামী বাজেটে সবার জন্য সুযোগ থাকবে: অর্থমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • / ১০৩৪৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছে, ‘আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের মূল থিম হচ্ছে—সবার জন্য সমান সুযোগ। ব্যবসায়ীরাও ঠকবেন না, আবার সরকারও জিতবে। সরকার সব ক্ষেত্রে বেশি নিলো, ব্যবসায়ীরা কিছু পেলো না, এ অভিযোগ সরকার শুনতে চায় না।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪২তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৩ বছরে রাজস্ব আট গুণ বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের অবদান আছে। তবে, ব্যবসায়ীদের এটাও মনে রাখতে হবে, আগামীতেও কর পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়ন হবে অথবা মেগা প্রকল্পগুলো সরকার কীভাবে শেষ করবে?’

তিনি জানান, সরকার পরোক্ষ কর থেকে সরে এসে প্রত্যক্ষ করের দিকে এগোচ্ছে।অনুষ্ঠানে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতিতে ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির নেতারা। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর উদ্যোগ, কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনাসহ আগামী বাজেট বাস্তবায়নে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের মধ্যে আছে—রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন পণ্য-সেবার ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো, করজাল বাড়ানো, করপোরেট কর হার কমানো, সব বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা ইত্যাদি।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলে, ‘রোজা সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সুলভে বর্ধিত নিত্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজারমূল্যের ভারসাম্য রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।’

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করসীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা, কোম্পানি কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের প্রস্তাব করেন জসিম উদ্দিন।তিনি আয়কর ও মূসকের আওতা বাড়ানো, সব রপ্তানি খাতকে সমান সুবিধা দেওয়া, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি জোরদার করা, টার্নওভার কর ফিরিয়ে আনা, ভ্যাট আইন সংশোধন করে বাস্তবসম্মত করার প্রস্তাব করেন।এছাড়া, ব্যাংক ঋণ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খেলাপি না করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

আগামী বাজেটে সবার জন্য সুযোগ থাকবে: অর্থমন্ত্রী

আপডেট: ০৭:০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছে, ‘আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের মূল থিম হচ্ছে—সবার জন্য সমান সুযোগ। ব্যবসায়ীরাও ঠকবেন না, আবার সরকারও জিতবে। সরকার সব ক্ষেত্রে বেশি নিলো, ব্যবসায়ীরা কিছু পেলো না, এ অভিযোগ সরকার শুনতে চায় না।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪২তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৩ বছরে রাজস্ব আট গুণ বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের অবদান আছে। তবে, ব্যবসায়ীদের এটাও মনে রাখতে হবে, আগামীতেও কর পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়ন হবে অথবা মেগা প্রকল্পগুলো সরকার কীভাবে শেষ করবে?’

তিনি জানান, সরকার পরোক্ষ কর থেকে সরে এসে প্রত্যক্ষ করের দিকে এগোচ্ছে।অনুষ্ঠানে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতিতে ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির নেতারা। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর উদ্যোগ, কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনাসহ আগামী বাজেট বাস্তবায়নে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের মধ্যে আছে—রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন পণ্য-সেবার ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো, করজাল বাড়ানো, করপোরেট কর হার কমানো, সব বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা ইত্যাদি।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলে, ‘রোজা সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সুলভে বর্ধিত নিত্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজারমূল্যের ভারসাম্য রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।’

ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করসীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা, কোম্পানি কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের প্রস্তাব করেন জসিম উদ্দিন।তিনি আয়কর ও মূসকের আওতা বাড়ানো, সব রপ্তানি খাতকে সমান সুবিধা দেওয়া, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি জোরদার করা, টার্নওভার কর ফিরিয়ে আনা, ভ্যাট আইন সংশোধন করে বাস্তবসম্মত করার প্রস্তাব করেন।এছাড়া, ব্যাংক ঋণ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খেলাপি না করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

ঢাকা/এসএ