০৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

‘আয়নাঘর’ বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০২৭৭ বার দেখা হয়েছে

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কার্যালয়ে গিয়ে গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’-এর সন্ধান পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি। আর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরুর পর ১৩ কর্মদিবসে ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কমিশনের সভাপতি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন আয়নাঘরে নানা পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মুছে ফেলা হয়েছে। অনেক দেয়ালে রং করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কক্ষ ভেঙে ফেলারও প্রমাণ মিলেছে। তবে কোনো ভুক্তভোগীকে পাওয়া যায়নি।

কমিশনের সদস্যরা জানান: তারা লিখিতভাবে আয়নাঘরে সব ধরনের পরিবর্তন স্থগিত করার জন্য বলেছেন। অভিযুক্তদের তলব করে বিষয়টি ব্যাপকভাবে খতিয়ে দেখা হবে। গুমে অভিযুক্ত যেসব ব্যক্তি পালিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপের প্রতিমা ভেঙেছে দুর্বৃত্তরা

কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন জানান, গুমসংক্রান্ত যে বর্ণনাগুলো তারা পেয়েছেন, সেই অনুযায়ী এখন সেলগুলো অনেকাংশে নেই। বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হয়েছে, কিছু ভেঙে ফেলা হয়েছে।

মাত্র ১৩ কার্যদিনে ৪০০টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কাছে। এগুলোর বেশির ভাগই র‌্যাবের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই, এসব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধেও গুমের অভিযোগ রয়েছে।

২০০৯ সালের ৬ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মধ্যে হওয়া গুমের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখবে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি। এরপর আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

‘আয়নাঘর’ বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন

আপডেট: ০৬:১৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কার্যালয়ে গিয়ে গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’-এর সন্ধান পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি। আর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরুর পর ১৩ কর্মদিবসে ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কমিশনের সভাপতি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন আয়নাঘরে নানা পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মুছে ফেলা হয়েছে। অনেক দেয়ালে রং করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কক্ষ ভেঙে ফেলারও প্রমাণ মিলেছে। তবে কোনো ভুক্তভোগীকে পাওয়া যায়নি।

কমিশনের সদস্যরা জানান: তারা লিখিতভাবে আয়নাঘরে সব ধরনের পরিবর্তন স্থগিত করার জন্য বলেছেন। অভিযুক্তদের তলব করে বিষয়টি ব্যাপকভাবে খতিয়ে দেখা হবে। গুমে অভিযুক্ত যেসব ব্যক্তি পালিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপের প্রতিমা ভেঙেছে দুর্বৃত্তরা

কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন জানান, গুমসংক্রান্ত যে বর্ণনাগুলো তারা পেয়েছেন, সেই অনুযায়ী এখন সেলগুলো অনেকাংশে নেই। বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হয়েছে, কিছু ভেঙে ফেলা হয়েছে।

মাত্র ১৩ কার্যদিনে ৪০০টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কাছে। এগুলোর বেশির ভাগই র‌্যাবের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই, এসব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধেও গুমের অভিযোগ রয়েছে।

২০০৯ সালের ৬ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মধ্যে হওয়া গুমের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখবে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি। এরপর আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।

ঢাকা/এসএইচ