০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ইন্দো-বাংলা ফার্মার আর্থিক কার্যক্রম তদন্তে কমিটি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৩১৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আইপিও থেকে আয়, আর্থিক বিবরণী এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুমান হোসেন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিনিয়র ম্যানেজার স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।

বিএসইসি এই তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে এবং কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর কোম্পানিটির বিরুদ্ধে যদি কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে তার কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের কাংখিত রিটার্ন প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তদন্তে কোম্পানিটি কীভাবে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ব্যবহার করেছে, তা যাচাই করা হবে। তদন্ত কমিটি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন, বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত মূলধন, স্থায়ী সম্পদ এবং আর্থিক বিবরণীও বিশ্লেষণ করবে।

এছাড়া, কোম্পানির সামগ্রিক ব্যবসায়িক অবস্থা ও চলমান কার্যক্রম মূল্যায়ন করা হবে এবং দাবি না করা ডিভিডেন্ডের বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।

ইন্দো-বাংলা ফার্মার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোম্পানিটি ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা মোকাবেলা করছে এবং গত বছরে এটি মাত্র দুবার ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পেরেছে। যার ফলে কোম্পানি স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে আংশিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মার্জিন ঋণ প্রাপ্তিতে ৫০ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকা উচিত: আহমেদ রশিদ লালী

তিনি উল্লেখ করেন, কোম্পানির রাজস্ব হ্রাস পেয়েছে সীমিত কার্যক্রম এবং আমদানিকৃত কাঁচামালের ঘাটতির কারণে। যদিও ব্যাংকগুলো আশা দিয়েছে ডলার সংকট শীঘ্রই সমাধান হবে। কোম্পানি এখন আরও সহজে এলসি খোলার জন্য এবং কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক পরিবর্তনের বিষয়ও বিবেচনা করছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ইন্দো-বাংলা ফার্মা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ও ৯ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

এরপর ২০২০ সালে ৪.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ বোনাস ২০২১ সালে ৪ শতাংশ ক্যাশ ও ৩ শতাংশ বোনাস, ২০২২ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

কোম্পানিটি ২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের কোন ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ০৫ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদে হচ্ছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

ইন্দো-বাংলা ফার্মার আর্থিক কার্যক্রম তদন্তে কমিটি

আপডেট: ০৬:২২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আইপিও থেকে আয়, আর্থিক বিবরণী এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুমান হোসেন ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিনিয়র ম্যানেজার স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।

বিএসইসি এই তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে এবং কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর কোম্পানিটির বিরুদ্ধে যদি কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে, কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে তার কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের কাংখিত রিটার্ন প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তদন্তে কোম্পানিটি কীভাবে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ব্যবহার করেছে, তা যাচাই করা হবে। তদন্ত কমিটি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন, বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত মূলধন, স্থায়ী সম্পদ এবং আর্থিক বিবরণীও বিশ্লেষণ করবে।

এছাড়া, কোম্পানির সামগ্রিক ব্যবসায়িক অবস্থা ও চলমান কার্যক্রম মূল্যায়ন করা হবে এবং দাবি না করা ডিভিডেন্ডের বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।

ইন্দো-বাংলা ফার্মার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোম্পানিটি ডলার সংকটের কারণে কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা মোকাবেলা করছে এবং গত বছরে এটি মাত্র দুবার ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পেরেছে। যার ফলে কোম্পানি স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে আংশিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: মার্জিন ঋণ প্রাপ্তিতে ৫০ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকা উচিত: আহমেদ রশিদ লালী

তিনি উল্লেখ করেন, কোম্পানির রাজস্ব হ্রাস পেয়েছে সীমিত কার্যক্রম এবং আমদানিকৃত কাঁচামালের ঘাটতির কারণে। যদিও ব্যাংকগুলো আশা দিয়েছে ডলার সংকট শীঘ্রই সমাধান হবে। কোম্পানি এখন আরও সহজে এলসি খোলার জন্য এবং কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক পরিবর্তনের বিষয়ও বিবেচনা করছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ইন্দো-বাংলা ফার্মা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ও ৯ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

এরপর ২০২০ সালে ৪.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ বোনাস ২০২১ সালে ৪ শতাংশ ক্যাশ ও ৩ শতাংশ বোনাস, ২০২২ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

কোম্পানিটি ২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের কোন ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ০৫ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদে হচ্ছে।

ঢাকা/এসএইচ