ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ব্যাংক করা হবে: গভর্নর

- আপডেট: ০৫:২০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০৩৬৩ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হবে। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক ছোট ইসলামী ব্যাংক রয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই সমস্যাগ্রস্ত। এসব ব্যাংক একীভূত করে দুইটি বড় ইসলামী ব্যাংক তৈরি করা হবে এবং এর জন্য আইন ও তদারকির ব্যবস্থা চালু করা হবে। বৈশ্বিক পরিসরের উত্তম রীতিনীতি অনুসরণ করে এই কাজটি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে রাজনৈতিক সমর্থন প্রয়োজন। রাজনীতির পালাবদল হলেও এসব সংস্কার চলতে হবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে হবে। বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ চলছে এবং আইনি ও নৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে ১১টি ব্যাংক এবং পরে আরও দুটি ব্যাংকে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গভর্নর আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে এবং ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে, যাতে ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতে সমস্যা আগেই চিহ্নিত করা যায় এবং সমাধান করা সম্ভব হয়।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক খাতে সমস্যার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকও একটি কারণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন চাপ থাকে, সেই সঙ্গে আছে ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকর হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
ব্যাংক খাতে যেসব সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে, তা যেন আগেই জানা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তা নিবিড়ভাবে তদারকি করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিপোর্টিং পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করা হবে। সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে।
ঢাকা/টিএ