০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

ঋণখেলাপি বাড়ার বড় কারণ উচ্চ সুদহার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:২৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • / ১০৩৫৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ব্যাংক ঋণের সুদ হার বাংলাদেশে তুলনামূলক বেশি। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কিছুটা পিছিয়ে পড়তে হচ্ছিল। অন্যদিকে, ঋণখেলাপি বাড়ার অন্যতম কারণই ছিল উচ্চ সুদহার। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিগত অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের সুদ হার এক অঙ্কে আনা হয়েছিল। 

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থমন্ত্রী জানান, ঋণপ্রবাহ বাড়াতে ও ব্যাংকে তারল্য ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিগত সুদহার কমানো হয়েছিল। ফলে, ঋণের গড় সুদহার চলতি বছরের মার্চে ৭.১১ শতাংশে নেমে এসেছে। আমানত ও ঋণের সুদহারের পার্থক্য ফেব্রুয়ারি ২০১১ সময়ের ৫.৬৮ শতাংশ থেকে চলতি বছরের মার্চে ৩.১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

সুদের হার কমানোর ফলে করোনা অতিমারিতেও ব্যাংক খাতের দক্ষতা বেড়েছে। ২০২১ সালে করোনা অতিমারির মধ্যেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় নিয়ে রেপো হার ৪.৭৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

ঋণখেলাপি বাড়ার বড় কারণ উচ্চ সুদহার

আপডেট: ০৮:২৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ব্যাংক ঋণের সুদ হার বাংলাদেশে তুলনামূলক বেশি। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কিছুটা পিছিয়ে পড়তে হচ্ছিল। অন্যদিকে, ঋণখেলাপি বাড়ার অন্যতম কারণই ছিল উচ্চ সুদহার। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিগত অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের সুদ হার এক অঙ্কে আনা হয়েছিল। 

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থমন্ত্রী জানান, ঋণপ্রবাহ বাড়াতে ও ব্যাংকে তারল্য ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিগত সুদহার কমানো হয়েছিল। ফলে, ঋণের গড় সুদহার চলতি বছরের মার্চে ৭.১১ শতাংশে নেমে এসেছে। আমানত ও ঋণের সুদহারের পার্থক্য ফেব্রুয়ারি ২০১১ সময়ের ৫.৬৮ শতাংশ থেকে চলতি বছরের মার্চে ৩.১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

সুদের হার কমানোর ফলে করোনা অতিমারিতেও ব্যাংক খাতের দক্ষতা বেড়েছে। ২০২১ সালে করোনা অতিমারির মধ্যেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় নিয়ে রেপো হার ৪.৭৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

ঢাকা/টিএ