১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঋণের কিস্তি পরিশোধে সময় বাড়ানোর অনুরোধ ব্যাংক মালিকদের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৩২০ বার দেখা হয়েছে

দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় আরও ৬ মাস বাড়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে এই অনুরোধের বিরোধিতা করেছেন সংগঠনের একাধিক সদস্য। সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত চিঠিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গত ৩১ জুলাই পাঠানো হয়। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার। সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পরে তিনি পদত্যাগ করেন।

ব্যাংক মালিকদের সংগঠনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মেয়াদি ঋণ কিস্তি পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ থেকে পরবর্তীতে ৬ মাস পর থেকে ওভারডিউ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নিয়ম বদল করেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে, ৩ মাস পর হলে এবং আগামী বছরের ৩১ মার্চ থেকে পরিশোধের নির্ধারিত তারিখের পরদিন থেকেই ওভারডিউ পিরিয়ড ধরা হবে বলে জানানো হয়।’

সংগঠনটি বলছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের পরিবর্তে আগামী বছরের ৩১ মার্চ থেকে কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা আছে।’

তবে বিএবির বেশ কয়েকজন সদস্য জানিয়েছে, এই চিঠি দেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। তারা জানান, ‘সাধারণত বিএবিতে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছামতো সংগঠনটি চালান।’

আরও পড়ুন: পাচারকারীদের টাকার বালিশে ঘুমাতে দেওয়া হবে না: গভর্নর

দেশের যে ব্যাংকগুলো এখন ভালো করছে, এসব ব্যাংকের অংশগ্রহণ সংগঠনের এক্সিকিউটিভ কমিটিতে খুব বেশি নেই। ফলে এই চিঠির উল্লেখিত দাবিগুলো সব ব্যাংকের দাবি কিনা, এ বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

চিঠির দাবিগুলো খুব ‘রিগ্রেসিভ’ মন্তব্য করে একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী অস্থিরতার কারণে অবশ্যই ব্যবসায়ের ক্ষতি হয়েছে। তবে এর কারণে এমন কোনো ক্ষতি হয়নি যে ব্যবসায়ীদের এমন সুবিধা দিতে হবে। সুশাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপগুলো খুবই ভাল ছিল, এর বাইরে না গেলেই ভালো।’

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আইএমএফের থেকেও এই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

ঋণের কিস্তি পরিশোধে সময় বাড়ানোর অনুরোধ ব্যাংক মালিকদের

আপডেট: ০৩:৩২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় আরও ৬ মাস বাড়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে এই অনুরোধের বিরোধিতা করেছেন সংগঠনের একাধিক সদস্য। সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত চিঠিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গত ৩১ জুলাই পাঠানো হয়। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার। সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পরে তিনি পদত্যাগ করেন।

ব্যাংক মালিকদের সংগঠনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মেয়াদি ঋণ কিস্তি পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ থেকে পরবর্তীতে ৬ মাস পর থেকে ওভারডিউ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নিয়ম বদল করেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে, ৩ মাস পর হলে এবং আগামী বছরের ৩১ মার্চ থেকে পরিশোধের নির্ধারিত তারিখের পরদিন থেকেই ওভারডিউ পিরিয়ড ধরা হবে বলে জানানো হয়।’

সংগঠনটি বলছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের পরিবর্তে আগামী বছরের ৩১ মার্চ থেকে কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা আছে।’

তবে বিএবির বেশ কয়েকজন সদস্য জানিয়েছে, এই চিঠি দেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। তারা জানান, ‘সাধারণত বিএবিতে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছামতো সংগঠনটি চালান।’

আরও পড়ুন: পাচারকারীদের টাকার বালিশে ঘুমাতে দেওয়া হবে না: গভর্নর

দেশের যে ব্যাংকগুলো এখন ভালো করছে, এসব ব্যাংকের অংশগ্রহণ সংগঠনের এক্সিকিউটিভ কমিটিতে খুব বেশি নেই। ফলে এই চিঠির উল্লেখিত দাবিগুলো সব ব্যাংকের দাবি কিনা, এ বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

চিঠির দাবিগুলো খুব ‘রিগ্রেসিভ’ মন্তব্য করে একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী অস্থিরতার কারণে অবশ্যই ব্যবসায়ের ক্ষতি হয়েছে। তবে এর কারণে এমন কোনো ক্ষতি হয়নি যে ব্যবসায়ীদের এমন সুবিধা দিতে হবে। সুশাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপগুলো খুবই ভাল ছিল, এর বাইরে না গেলেই ভালো।’

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আইএমএফের থেকেও এই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে।

ঢাকা/এসএইচ