০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

একশ খুন করতে চান নোরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে

বলিউড তারকা কারিনা কাপুর খানের ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’ শোতে আসার পর থেকে নোরাকে নিয়ে অনলাইনে আবার আলোচনা হচ্ছে। বলিউডি ড্যান্সের নতুন সেনসেশন নোরা ফাতেহিকে নিয়ে কারিনা নিজেই বলেছেন, নোরা বলিউডের অন্যতম সেরা আবিষ্কার। অথচ বলিউডের মায়ানগরীতে প্রতিষ্ঠা পেতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাঁকে। একাধিকবার বিরূপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে ফিরে যেতে চেয়েছেন কানাডায়। ছয় বছরের পথচলা শেষে তিনি বলিউডের সেরা ড্যান্সারদের একজন। অভিনয়শিল্পী হিসেবেও কুড়াচ্ছেন প্রশংসা।

নোরাকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে কারিনা বলেন, ‘আজ আমরা তথাকথিত প্রথা ভাঙার গল্প করব। আমাদের আজকের অতিথি, যিনি অন্য এক দেশ থেকে এসে আমাদের প্রচলিত সব নিয়ম-রীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি সবার “সাকি” নোরা ফাতেহি।’ মাত্র ২৮ বছর বয়সী নোরার নাচ দেখে হতবাক কারিনা বলেন, তাঁর নাচ দেখে তিনি বুঝে উঠতেই পারেন না, এই মেয়েটা কীভাবে এত সুন্দর নাচে! কারিনা আরও বলেন, তিনি আর তাঁর স্বামী সাইফ আলী খান দুজনই নোরার ভক্ত। এ কথা শুনে নোরা জানান, তৈমুর বড় হলে তিনি তাকে বিয়ে করতে চান। নোরার কথা শুনে কারিনা হেসেই খুন। বললেন, ‘ওর তো মাত্র চার বছর বয়স। বিয়ের জন্য এখনো অনেকটা পথ পেরোতে হবে।’ নোরাও মজা করে বলেন, তিনি অপেক্ষা করবেন।

 
ভারতে নোরার কেউ নেই। ভারতের ভাষা বা সংস্কৃতি একদম অচেনা তাঁর। তারপরও কী পুঁজি করে ভারতে এসেছিলেন তিনি? এটাই ছিল নোরার কাছে রাখা কারিনার প্রথম প্রশ্ন। উত্তরে নোরা বলেন, ‘স্বপ্ন, আর পাঁচ হাজার টাকা।’ নোরাকে যদি বিনা বিচারে একটা ‘ফ্রি খুনে’র প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কাকে খুন করবেন? এ উত্তরে নোরা বলেন, ‘মাত্র একজনকে? আমি অন্তত শ খানিক মানুষকে খুন করতে চাই।’
এরপর উঠে আসে বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে নোরার সংগ্রামের গল্প। উঠে আসে কাস্টিংয়ের গল্প। একজন নারী কাস্টিং ডিরেক্টরের ফোন পেয়ে অডিশন দিতে গিয়েছিলেন নোরা। সেখানে ওই কাস্টিং ডিরেক্টর চিৎকার করে নোরাকে বলেছিলেন, ‘বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে গেলে “এক্স ফ্যাক্টর” লাগে। বলিউডের স্বপ্নে বিভোর হয়ে প্রতিদিন তোমার মতো হাজার হাজার মেয়ে আসে। তোমাকে দিয়ে হবে না। তুমি বরং ভাগো। তোমাদের মতো গুড ফর নাথিং মেয়েদের ভার বইতে বইতে বলিউড ক্লান্ত।’ এসব শুনে অনেক কেঁদেছিলেন নোরা। তারপর ঠিকই প্রতিষ্ঠা পেয়ে দেখিয়েছেন। ওই কাস্টিং ডিরেক্টরও পরে নোরাকে সরি বলেছেন।

শেয়ার করুন

x
English Version

একশ খুন করতে চান নোরা

আপডেট: ১২:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

বলিউড তারকা কারিনা কাপুর খানের ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’ শোতে আসার পর থেকে নোরাকে নিয়ে অনলাইনে আবার আলোচনা হচ্ছে। বলিউডি ড্যান্সের নতুন সেনসেশন নোরা ফাতেহিকে নিয়ে কারিনা নিজেই বলেছেন, নোরা বলিউডের অন্যতম সেরা আবিষ্কার। অথচ বলিউডের মায়ানগরীতে প্রতিষ্ঠা পেতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাঁকে। একাধিকবার বিরূপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে ফিরে যেতে চেয়েছেন কানাডায়। ছয় বছরের পথচলা শেষে তিনি বলিউডের সেরা ড্যান্সারদের একজন। অভিনয়শিল্পী হিসেবেও কুড়াচ্ছেন প্রশংসা।

নোরাকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে কারিনা বলেন, ‘আজ আমরা তথাকথিত প্রথা ভাঙার গল্প করব। আমাদের আজকের অতিথি, যিনি অন্য এক দেশ থেকে এসে আমাদের প্রচলিত সব নিয়ম-রীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি সবার “সাকি” নোরা ফাতেহি।’ মাত্র ২৮ বছর বয়সী নোরার নাচ দেখে হতবাক কারিনা বলেন, তাঁর নাচ দেখে তিনি বুঝে উঠতেই পারেন না, এই মেয়েটা কীভাবে এত সুন্দর নাচে! কারিনা আরও বলেন, তিনি আর তাঁর স্বামী সাইফ আলী খান দুজনই নোরার ভক্ত। এ কথা শুনে নোরা জানান, তৈমুর বড় হলে তিনি তাকে বিয়ে করতে চান। নোরার কথা শুনে কারিনা হেসেই খুন। বললেন, ‘ওর তো মাত্র চার বছর বয়স। বিয়ের জন্য এখনো অনেকটা পথ পেরোতে হবে।’ নোরাও মজা করে বলেন, তিনি অপেক্ষা করবেন।

 
ভারতে নোরার কেউ নেই। ভারতের ভাষা বা সংস্কৃতি একদম অচেনা তাঁর। তারপরও কী পুঁজি করে ভারতে এসেছিলেন তিনি? এটাই ছিল নোরার কাছে রাখা কারিনার প্রথম প্রশ্ন। উত্তরে নোরা বলেন, ‘স্বপ্ন, আর পাঁচ হাজার টাকা।’ নোরাকে যদি বিনা বিচারে একটা ‘ফ্রি খুনে’র প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কাকে খুন করবেন? এ উত্তরে নোরা বলেন, ‘মাত্র একজনকে? আমি অন্তত শ খানিক মানুষকে খুন করতে চাই।’
এরপর উঠে আসে বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে নোরার সংগ্রামের গল্প। উঠে আসে কাস্টিংয়ের গল্প। একজন নারী কাস্টিং ডিরেক্টরের ফোন পেয়ে অডিশন দিতে গিয়েছিলেন নোরা। সেখানে ওই কাস্টিং ডিরেক্টর চিৎকার করে নোরাকে বলেছিলেন, ‘বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে গেলে “এক্স ফ্যাক্টর” লাগে। বলিউডের স্বপ্নে বিভোর হয়ে প্রতিদিন তোমার মতো হাজার হাজার মেয়ে আসে। তোমাকে দিয়ে হবে না। তুমি বরং ভাগো। তোমাদের মতো গুড ফর নাথিং মেয়েদের ভার বইতে বইতে বলিউড ক্লান্ত।’ এসব শুনে অনেক কেঁদেছিলেন নোরা। তারপর ঠিকই প্রতিষ্ঠা পেয়ে দেখিয়েছেন। ওই কাস্টিং ডিরেক্টরও পরে নোরাকে সরি বলেছেন।