০১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এডিসি হারুন-সানজিদা, এপিএস মামুন-ছাত্রলীগ নেতার দায়: তদন্ত কমিটি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪০৯৭ বার দেখা হয়েছে

শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি।

একইসঙ্গে এ ঘটনার নেপথ্যে পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন, তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়া গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, এ ঘটনায় ডিএমপির গঠিত তদন্ত কমিটি সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কাজ শেষ করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওই কমিটি ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে এডিসি হারুন ও সানজিদা, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন, ছাত্রলীগের নেতা, শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ যাদের যতটুকু দায় পাওয়া গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিটির এক সদস্য জানান, প্রথমে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারায় বাড়তি পাঁচ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করে কমিটি। এর ভিত্তিতে ডিএমপি কমিশনার আরও পাঁচ দিন সময় দেন। বর্ধিত সময়ের শেষদিন সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের তদন্তকাজ শেষ হয়েছে।

তদন্তে দায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত বারডেম হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া সব কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্টতা ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটি ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী ডিএমপির এডিসি (অতিরিক্ত উপ-কমিশনার) সানজিদা আফরিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে ওই দিন সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন অর রশিদের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তার স্বামী আজিজুল।

এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

কমিটিকে প্রথমে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তদন্ত শেষ না করতে পারায় আরও পাঁচ দিন সময় বাড়ানো হয়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

English Version

এডিসি হারুন-সানজিদা, এপিএস মামুন-ছাত্রলীগ নেতার দায়: তদন্ত কমিটি

আপডেট: ১২:৪২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি।

একইসঙ্গে এ ঘটনার নেপথ্যে পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন, তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়া গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, এ ঘটনায় ডিএমপির গঠিত তদন্ত কমিটি সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কাজ শেষ করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওই কমিটি ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে এডিসি হারুন ও সানজিদা, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন, ছাত্রলীগের নেতা, শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ যাদের যতটুকু দায় পাওয়া গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিটির এক সদস্য জানান, প্রথমে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারায় বাড়তি পাঁচ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করে কমিটি। এর ভিত্তিতে ডিএমপি কমিশনার আরও পাঁচ দিন সময় দেন। বর্ধিত সময়ের শেষদিন সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের তদন্তকাজ শেষ হয়েছে।

তদন্তে দায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত বারডেম হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া সব কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্টতা ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটি ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী ডিএমপির এডিসি (অতিরিক্ত উপ-কমিশনার) সানজিদা আফরিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে ওই দিন সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন অর রশিদের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তার স্বামী আজিজুল।

এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

কমিটিকে প্রথমে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু তদন্ত শেষ না করতে পারায় আরও পাঁচ দিন সময় বাড়ানো হয়।

ঢাকা/এসএ