করজাল বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্পট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু

- আপডেট: ০৭:০৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
- / ১০২৮৭ বার দেখা হয়েছে
যাদের করযোগ্য আয় আছে অথচ আয়কর রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাদের রিটার্ন দাখিলের সব সেবা প্রদান করতে ব্যবসাস্থলে উপস্থিত হতে যাচ্ছে কর অফিস। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করজাল বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে স্পট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল এ কার্যক্রম শুরু করেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আজ বুধবার (১৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল এই কার্যক্রম শুরু করেছে; যা ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে কর সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কর প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, কর প্রদান ব্যবস্থাকে সহজ করে করদাতার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে কর জাল সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সারাদেশে নতুনভাবে স্পট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু করেছে। যে সব করদাতার করযোগ্য আয় এবং রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে অথচ আয়কর রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাদের ব্যবসাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরাসরি সেবা প্রদান করে সহজে রিটার্ন গ্রহণ করা হবে।
এনবিআর সূত্র বলছে, এই কার্যক্রম নতুন করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়কর প্রদান করতে উৎসাহিত করছে। বর্তমানে কর অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে স্পট অ্যাসেসমেন্ট পরিচালনা শুরু করেছে। কর কমিশনাররা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে এই কার্যক্রম তদারকি করছেন এবং নির্ধারিত স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং সাধারণ করদাতাগণকে সরাসরি অনলাইনে রিটার্ন পূরণে সহায়তা প্রদান করে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। একইসঙ্গে করদাতারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করে আয়কর সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের সুযোগ পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি সেবা
চলমান স্পট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম সফল করতে দেশের সব ব্যবসায়ী সংগঠন, চেম্বার অব কমার্স, ব্যবসায়ী নেতারা, স্থানীয় প্রশাসন, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং করদাতাদের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে স্পট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে করদাতাদের মধ্যে কর পরিশোধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে এবং কর ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। এটি চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা/টিএ