০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের নতুন রেকর্ড

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৫৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ দেশে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনা আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২১৩ জন। একদিনে মৃত্যু ও শনাক্তের হিসাবে যা নতুন রেকর্ড।

এর আগে জুনের ৩০ তারিখে ৬৪ জন মারা যান, যা একদিনে মৃতের সংখ্যায় এতদিন সর্বোচ্চ ছিল। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ৫০ জনের ওপরে মারা যাচ্ছেন। আজ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জনে। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন।

এ সময়ে ৩৪ হাজার ৩৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, বাকি ২৭ জন নারী। ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে, ২ জন মারা গেছেন বাড়িতে। মোট মারা যাওয়া ৯ হাজার ৩৮৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৪৩ জন, নারী ২ হাজার ৩৪১ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৪১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই জারি করা হয় লকডাউন। এতে থমকে যায় দেশগুলোর অর্থনীতির চাকা। বাংলাদেশেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে জেলাভিত্তিক চলাচল সীমিত করা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে বিভিন্ন দেশ শর্তসাপেক্ষে লকডাউন তুলে নেয়। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিষেধক টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ আছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের নতুন রেকর্ড

আপডেট: ০৪:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ দেশে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনা আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২১৩ জন। একদিনে মৃত্যু ও শনাক্তের হিসাবে যা নতুন রেকর্ড।

এর আগে জুনের ৩০ তারিখে ৬৪ জন মারা যান, যা একদিনে মৃতের সংখ্যায় এতদিন সর্বোচ্চ ছিল। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ৫০ জনের ওপরে মারা যাচ্ছেন। আজ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জনে। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন।

এ সময়ে ৩৪ হাজার ৩৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৩১১টি নমুনা। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, বাকি ২৭ জন নারী। ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে, ২ জন মারা গেছেন বাড়িতে। মোট মারা যাওয়া ৯ হাজার ৩৮৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৪৩ জন, নারী ২ হাজার ৩৪১ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৪১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই জারি করা হয় লকডাউন। এতে থমকে যায় দেশগুলোর অর্থনীতির চাকা। বাংলাদেশেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে জেলাভিত্তিক চলাচল সীমিত করা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে বিভিন্ন দেশ শর্তসাপেক্ষে লকডাউন তুলে নেয়। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিষেধক টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ আছে।

ঢাকা/এসএ