শেয়ার ব্যবসা করে অনেকেই পথে বসেছেন। আবার এই শেয়ার ব্যবসা করেই অনেকে দেখেছেন আলোর মুখ। তবে আমাদের দেশে যারা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের অনেকেই মনে করেন, এটা একটা গ্যাম্বলিং বাজার। আসলে এ কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়। তবে বিশ্বের সব দেশের শেয়ার বাজারেই কিছু লোক আধিপত্য বিস্তার করেন। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। না জেনে ও বুঝে শেয়ার ব্যবসা করা ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগের পূর্বে অবশ্যই একটি কোম্পানির যাবতীয় খুটিনাটি জেনে বিনিয়োগ করতে হয়। আর এজন্যই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে নিয়ে জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল বিজনেস জার্নাল-এর নিয়মিত ‘ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস’।
আজ আমরা পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো নিয়ে আলোচনা করবো।
কোম্পানিটির তথ্য বিশ্লেষনে গত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য কোন প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায় নি।শেয়ার দর বিবেচনায় কোম্পানিটির পিই গ্রোথ অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে। তবে কমেছে নেট প্রফিট গ্রোথ, ইপিএস, এনএভি এবং ডিভিডেন্ড গ্রোথ। যা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিভিডেন্ডের তথ্যে দেখা গেছে, কোম্পানিটি ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানের হার মোটেও সন্তোষজনক নয়। নিচে কোম্পানিটির যাবতীয় বিষয়গুলো চার্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা হলো। তথ্যসূত্রঃ ইকোসফট বিডি
কোম্পানির নাম: বেক্সিমকো লি:।

চিত্র-১: সমাপ্ত কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারে সর্বশেষ ২৮.১০ টাকায় লেনদেন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬.০৩ শতাংশ বেড়েছে। আগের কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজ প্রাইস ছিল ২৬.৫০ টাকা।‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির বর্তমান পিই রেশিও ৩১.৯৩ এবং অডিটেড পিই ১৭.২৪।

চিত্র-২: কোম্পানিটির মুনাফার তথ্য বিশ্লেষনে দেখা গেছে, সদ্য সমাপ্ত বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ০.৩১ টাকা হয়েছে। গতবছরের একই সময়ে যা ছিল ০.৩৯ টাকা।সে হিসেবে শতাংশের ভিত্তিতে যা ২০.৫১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে ০.২৩ টাকা যা আগের বছর ছিল ০.৪০ টাকা, তৃতীয় প্রান্তিকে ০.১২ টাকা যা আগের বছর ছিল ০.৪২ টাকা।
কোম্পানিটি সদ্য সমাপ্ত বছরে ১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার মুনাফা করেছে, এর আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ১১৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অর্থ্যাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটি মুনাফা বেড়েছে ৮৬.৪৫ শতাংশ।
কোম্পানিটির মোট ৬,১১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে। সে হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ৬৯.৮৩ টাকা।এছাড়া কোম্পানির মোট রিজার্ভের পরিমাণ ৫,২৬৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিটির ৬০.১৪ টাকা রিজার্ভ রয়েছে।

চিত্র-৩: ৮৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।৮৭ কোটি ৬৩ লাখ শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিটির বাজার মূলধনের পরিমাণ ২,৪৬২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

চিত্র-৪: কোম্পানির শেয়ারধারনের তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ২০.১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২০.৯০ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭.৭২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫১.২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

চিত্র-৫: গত ১০ বছরে কোম্পানিটির পিই রেশিও বিশ্লেষনে দেখা গেছে, কোম্পানিটির পিই গ্রোথ ১৩২.০৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির পিই ছিল যথাক্রমে- ১১.০৭, ৬.৮৯, ১৯.৪০, ৫৬.৪৯, ৩৯.৫৭, ১৫.৩৪, ২৬.০২, ১৬.৯০, ১৩.৭৬ এবং ৩১.৯৩।

চিত্র-৬: গত ১০ বছরে কোম্পানিটির ইপিএস বিশ্লেষনে দেখা গেছে, কোম্পানিটির ইপিএস গ্রোথ ৪৬.০১ শতাংশ কমেছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির ইপিএস ছিল যথাক্রমে- ৪২.২২, ২০.৫০, ৩.৮৩, ০.৬৬, ১.০৬, ১.৫৬, ১.২৯, ১.৫৫, ১.৬৩ এবং ০.৮৮ টাকা।

চিত্র-৭: গত ৯ বছরে কোম্পানিটির এনএভি বিশ্লেষনে দেখা গেছে, কোম্পানিটির এনএভি গ্রোথ ৪.৮৮ শতাংশ কমেছে। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির এনএভি ছিল যথাক্রমে- ১০৭.৮৩, ১২৪.৬৯, ১০২.৫৯, ৯৬.১৫, ৮৫.৬২, ৮৫.৮৫, ৭৬.২৫, ৭৩.৪১ এবং ৬৯.৮৩ টাকা।

চিত্র-৮: গত ১০ বছরে কোম্পানিটির নেট প্রফিট গ্রোথ বিশ্লেষনে দেখা গেছে, কোম্পানিটির নেট প্রফিট গ্রোথ ৮৬.৪৫ শতাংশ কমেছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির নেট প্রফিট ছিল যথাক্রমে- ৬৮৫.৭৬, ৭২৪.৮৬, ১৭৩.৪৬, ৩৪.২৬, ৬৩.৬৭, ৮৪৭.১৩, ১১২.৩৪, ১২৩.৪৭, ১১৫.৩৬ এবং ১৫.৬৩ কোটি টাকা।

চিত্র-৯: গত ১০ বছরে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড গ্রোথ বিশ্লেষনে দেখা গেছে, কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড গ্রোথ ৫ শতাংশ কমেছে। ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির ডিভিডেন্ডের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে- ৫০%বি, ২৫%বি, ১৫%বি, ১৫%বি, ১৫%বি, ১৫%বি, ৫%বি+৫%সি, ৫%বি+৫%সি, এবং ৫%সি। এখানে ‘বি’ বলতে স্টক ডিভিডেন্ড এবং ‘সি’ বলতে ক্যাশ ডিভিডেন্ডকে বোঝানো হয়েছে।

বিঃদ্রঃ পাঠক তথা বিনিয়োগকারীদের কোন শেয়ারে বিনিয়োগে উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করা এ প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য নয়। শুধুমাত্র কোম্পানির সার্বিক চিত্র বা তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।মোটকথা পুঁজি আপনার এবং এর সুরুক্ষা নিশ্চিত করাও আপনার দায়িত্ব্য। কাজেই গুজবে কান না দিয়ে জেনে এবং বুঝে বিনিয়োগ করুন।
This is a great initiative. Thank you
Good analysis
why not Heidelberg cement, beacon pharma and so many whose PE too high even some of them eps are negative desipte of that share price is extremely high, despite of that why beximco first escsping other whose financial analyses is too worst.
This is the only best way to awareness the small investors and safe their lives from bad elements of stock market. Please try your best innocently to know us the actual status of most hot trading securities
It will benefit all losing small investors and ….
Comments are closed.