০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

গ্রামীণফোনের ২৭৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৩৫৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১৪৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ, ১০ টাকার প্রতি শেয়ারে ১৪.৫ টাকা) চূড়ান্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর ফলে ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত ডিভিডেন্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ শতাংশ। যার মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ১৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড। এ হিসাবে ২০২০ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ৯৮.৮৬ শতাংশ।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) গ্রামীণফোনের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী এবং উপস্থিত শেয়ারহোল্ডার, কর্মী ও অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা পরিচালনা করেন গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হক। ভার্চুয়াল এ সভায় অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপকে, প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ডের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের কর্মী ও সাপ্লাই চেইন পার্টনারদের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি সফলভাবে প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ২০২০ সালে দক্ষতার সঙ্গে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।

তিনি বলেন, সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায়, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় এবং ‘লকডাউনে’ আমাদের নেটওয়ার্ক সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করায় ও আমাদের নানা কার্যক্রমে সহযোগী হওয়ার জন্য আমরা সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

এ বছর লক্ষ্য হবে গ্রামীণফোনের দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপকে বলেন, আমরা করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিকূলতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, যেসব বিষয়ের ওপর প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তা উন্নত নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দানে, প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে, উদ্ভাবনে, আধুনিকীকরণে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং দায়িত্বশীল উপায়ে ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে এবং এর লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। ‘নিউ নরমালে’ গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটানোর মাধ্যমে কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে এ যাত্রায় বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উন্মোচনে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখতে প্রত্যাশী।

গ্রামীণফোনের কমিউনিকেশন বিভাগের হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিক্যাশন্স মুহাম্মদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

x
English Version

গ্রামীণফোনের ২৭৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড অনুমোদন

আপডেট: ০২:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১৪৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ, ১০ টাকার প্রতি শেয়ারে ১৪.৫ টাকা) চূড়ান্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর ফলে ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত ডিভিডেন্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ শতাংশ। যার মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ১৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড। এ হিসাবে ২০২০ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ৯৮.৮৬ শতাংশ।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) গ্রামীণফোনের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী এবং উপস্থিত শেয়ারহোল্ডার, কর্মী ও অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা পরিচালনা করেন গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হক। ভার্চুয়াল এ সভায় অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপকে, প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ডের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের কর্মী ও সাপ্লাই চেইন পার্টনারদের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি সফলভাবে প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ২০২০ সালে দক্ষতার সঙ্গে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।

তিনি বলেন, সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায়, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় এবং ‘লকডাউনে’ আমাদের নেটওয়ার্ক সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করায় ও আমাদের নানা কার্যক্রমে সহযোগী হওয়ার জন্য আমরা সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

এ বছর লক্ষ্য হবে গ্রামীণফোনের দীর্ঘমেয়াদি টেকসই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপকে বলেন, আমরা করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিকূলতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, যেসব বিষয়ের ওপর প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তা উন্নত নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দানে, প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে, উদ্ভাবনে, আধুনিকীকরণে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং দায়িত্বশীল উপায়ে ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে এবং এর লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। ‘নিউ নরমালে’ গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটানোর মাধ্যমে কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে এ যাত্রায় বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উন্মোচনে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখতে প্রত্যাশী।

গ্রামীণফোনের কমিউনিকেশন বিভাগের হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিক্যাশন্স মুহাম্মদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।