০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
ডিএমপি কমিশনার

চৌদ্দগোষ্ঠীর রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে ১৫ বছরে পুলিশে নিয়োগ ৯০ হাজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩১২ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বাবা, মা, দাদা, তার দাদা, চৌদ্দপুরুষের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ প্রার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্ব পুরুষ কোন দল করতেন তার খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না গো হোম (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরও পড়ুন: দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন (শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর) দেখেছি ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহারা দিয়েছে। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্য বিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যান্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরে ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।

ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায়। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।

ইদানীং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। শিগগিরই ডিএমপিকে সচল করতে সক্ষম হব।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

ডিএমপি কমিশনার

চৌদ্দগোষ্ঠীর রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে ১৫ বছরে পুলিশে নিয়োগ ৯০ হাজার

আপডেট: ১২:০৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বাবা, মা, দাদা, তার দাদা, চৌদ্দপুরুষের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ প্রার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্ব পুরুষ কোন দল করতেন তার খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না গো হোম (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরও পড়ুন: দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন (শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর) দেখেছি ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহারা দিয়েছে। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্য বিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যান্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরে ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।

ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায়। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।

ইদানীং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। শিগগিরই ডিএমপিকে সচল করতে সক্ষম হব।

ঢাকা/এসএইচ