০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ছাত্রলীগের ‘চাকরি প্রত্যাশী’দের আন্দোলনে রাবির প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১১২ বার দেখা হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ‘চাকরি প্রত্যাশী’ ছাত্রলীগের নেতারা। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তারা প্রশাসন ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন। এতে সব প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।  

দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনের পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছয়জন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

এর আগে, সোমবার রাত ৯টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বাসভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে সারারাত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রলীগের এই নেতারা। সকালে উপাচার্যের বাড়ির তালা খুলে দেওয়া হয়।

আন্দোলনকালে ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান হস্তক্ষেপ করতে পারে না। মন্ত্রণালয় উপাচার্যকে ১১টি চিঠি দিয়েছে। উপাচার্য মন্ত্রণালয়ের সেসব নির্দেশনা মেনে নিয়ে চুপ করে আছেন। ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ হবে আর উপাচার্য তা মেনে নিলেও আমরা মানব না।

বিষয়টি নিয়ে গতরাতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা তার সঙ্গে সন্ধ্যায় দেখা করে৷ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য  আবেদনকারী ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়োগ দিতে দাবি জানায়। তাদের আমি বলি, নিয়োগ প্রদানে শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরে তারা আমার বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।  

গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক সচিব স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে রাবিতে সকল নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে উপাচার্যকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

x
English Version

ছাত্রলীগের ‘চাকরি প্রত্যাশী’দের আন্দোলনে রাবির প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ

আপডেট: ০৩:১৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ‘চাকরি প্রত্যাশী’ ছাত্রলীগের নেতারা। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তারা প্রশাসন ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন। এতে সব প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।  

দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনের পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছয়জন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

এর আগে, সোমবার রাত ৯টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বাসভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে সারারাত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রলীগের এই নেতারা। সকালে উপাচার্যের বাড়ির তালা খুলে দেওয়া হয়।

আন্দোলনকালে ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান হস্তক্ষেপ করতে পারে না। মন্ত্রণালয় উপাচার্যকে ১১টি চিঠি দিয়েছে। উপাচার্য মন্ত্রণালয়ের সেসব নির্দেশনা মেনে নিয়ে চুপ করে আছেন। ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ হবে আর উপাচার্য তা মেনে নিলেও আমরা মানব না।

বিষয়টি নিয়ে গতরাতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা তার সঙ্গে সন্ধ্যায় দেখা করে৷ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য  আবেদনকারী ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়োগ দিতে দাবি জানায়। তাদের আমি বলি, নিয়োগ প্রদানে শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরে তারা আমার বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।  

গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক সচিব স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে রাবিতে সকল নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে উপাচার্যকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।