১২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টেকনো ড্রাগসে প্লেসমেন্ট শেয়ার নেই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১১৭৮৮ বার দেখা হয়েছে

নতু কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার আগে নানা ফন্দিফিকির করে প্লেসমেন্ট শেয়ার ঢুকায়। তারপর পুঁজিবাজারে আসার নির্ধারিত সময় পর চড়া প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়। যে কারণে পুঁজিবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ারকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে নতুন আইপিও শেয়ার টেকনো ড্রাগসে কোন প্লেসমেন্ট শেয়ার নেই। ওষুধ রপ্তানিতে দেশের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে অন্যতম টেকনো ড্রাগস কর্তৃপক্ষ কোনো প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করেনি।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, টেকনো ড্রাগসের আইপিও পূর্ব মোট পরিশোধিত মূলধন ছিল ৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা এবং এর শেয়ারহোল্ডার ছিল ১৮ জন। এরমধ্যে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদেরই মালিকানা ৬৩.১৪ শতাংশ। এছাড়া পর্ষদের বাকি ৪ জনের কাছে ছিল ২৪.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ পরিচালকদের কাছেই মালিকানার ৮৭.৯০ শতাংশ শেয়ার।

বাকি ১৩ জনের কাছে ছিল ১২.১০ শতাংশ। যেগুলো শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদের পরিবারের অন্যান্যদের ও নিজেদের পরিচালিত অন্যসব কোম্পানির কাছে রয়েছে।

বিশেষায়িত এই কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) টাকার অঙ্কে রেকর্ড পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে। ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে কোম্পানিটির আইপিওতে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে। যা শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন পায় ওষুধ খাতের এই প্রতিষ্ঠান। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশগ্রহণ করে প্রতিটি শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করে ৩৪ টাকা।

এর থেকে ৩০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৪ টাকা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিও দাম নির্ধারিত হয়। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করে।

আরও পড়ুন: ডিভিডেন্ড পাঠিয়েছে ইসলামী ব্যাংক

কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ১০২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৮০ শেয়ারের মাধ্যমে ১ লাখ ১২ হাজার ৯২৬টি আবেদনে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে।

আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে কোম্পানিটি নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিএমআরই (নরসিংদী কারখানা), ভবন নির্মাণ (গাজীপুর কারখানা), আংশিক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২২ টাকা ৫৭ পয়সা। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা, বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে যা ৩ টাকা ২৫ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

টেকনো ড্রাগস ২০১৪ সালে ওষুধ রপ্তানিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করে। এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ২০০৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয় এবং ২০১৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি থেকে পাবলিক কোম্পানিতে রুপান্তরিত হয়।

টেকনো ড্রাগস বিশেষায়িত ওষুধ পণ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির অনকোলজির ক্যামোথেরাপি, অ্যানেস্থেসিয়া বা চেতনানাশক, জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল, ইনজেকশন এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ইমপ্ল্যান্ট স্টিক (৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন) রয়েছে। ইমপ্ল্যান্ট স্টিক যা বাংলাদেশে একমাত্র টেকনো ড্রাগস উৎপাদন করে। এটি ৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রযোজ্য। এছাড়াও ভেটেনারি ও সাধারণ হিউম্যান মেডিসিনও রয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

টেকনো ড্রাগসে প্লেসমেন্ট শেয়ার নেই

আপডেট: ১১:২৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

নতু কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার আগে নানা ফন্দিফিকির করে প্লেসমেন্ট শেয়ার ঢুকায়। তারপর পুঁজিবাজারে আসার নির্ধারিত সময় পর চড়া প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়। যে কারণে পুঁজিবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ারকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে নতুন আইপিও শেয়ার টেকনো ড্রাগসে কোন প্লেসমেন্ট শেয়ার নেই। ওষুধ রপ্তানিতে দেশের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে অন্যতম টেকনো ড্রাগস কর্তৃপক্ষ কোনো প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করেনি।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, টেকনো ড্রাগসের আইপিও পূর্ব মোট পরিশোধিত মূলধন ছিল ৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা এবং এর শেয়ারহোল্ডার ছিল ১৮ জন। এরমধ্যে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদেরই মালিকানা ৬৩.১৪ শতাংশ। এছাড়া পর্ষদের বাকি ৪ জনের কাছে ছিল ২৪.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ পরিচালকদের কাছেই মালিকানার ৮৭.৯০ শতাংশ শেয়ার।

বাকি ১৩ জনের কাছে ছিল ১২.১০ শতাংশ। যেগুলো শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদের পরিবারের অন্যান্যদের ও নিজেদের পরিচালিত অন্যসব কোম্পানির কাছে রয়েছে।

বিশেষায়িত এই কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) টাকার অঙ্কে রেকর্ড পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে। ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে কোম্পানিটির আইপিওতে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে। যা শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন পায় ওষুধ খাতের এই প্রতিষ্ঠান। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশগ্রহণ করে প্রতিটি শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করে ৩৪ টাকা।

এর থেকে ৩০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৪ টাকা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিও দাম নির্ধারিত হয়। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করে।

আরও পড়ুন: ডিভিডেন্ড পাঠিয়েছে ইসলামী ব্যাংক

কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ১০২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৮০ শেয়ারের মাধ্যমে ১ লাখ ১২ হাজার ৯২৬টি আবেদনে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে।

আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে কোম্পানিটি নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিএমআরই (নরসিংদী কারখানা), ভবন নির্মাণ (গাজীপুর কারখানা), আংশিক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২২ টাকা ৫৭ পয়সা। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা, বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে যা ৩ টাকা ২৫ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

টেকনো ড্রাগস ২০১৪ সালে ওষুধ রপ্তানিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করে। এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ২০০৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয় এবং ২০১৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি থেকে পাবলিক কোম্পানিতে রুপান্তরিত হয়।

টেকনো ড্রাগস বিশেষায়িত ওষুধ পণ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির অনকোলজির ক্যামোথেরাপি, অ্যানেস্থেসিয়া বা চেতনানাশক, জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল, ইনজেকশন এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ইমপ্ল্যান্ট স্টিক (৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন) রয়েছে। ইমপ্ল্যান্ট স্টিক যা বাংলাদেশে একমাত্র টেকনো ড্রাগস উৎপাদন করে। এটি ৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রযোজ্য। এছাড়াও ভেটেনারি ও সাধারণ হিউম্যান মেডিসিনও রয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ