০২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

তিন বছর করমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে আইসিটি খাত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / ১০৩৮০ বার দেখা হয়েছে

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে এই খাতের ২৭টি উপখাতে কর অব্যাহতির সুবিধা থাকলেও সেই সুবিধা কিছুটা কমে ২০টি খাতে নেমে আসতে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে বাজেট মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবনায় বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিম্নবর্ণিত আইটি সেবাসমূহসহ অন্যান্য কতিপয় খাতে ১ জুলাই ২০২৪ হতে ৩০ জুন ২০২৭ পর্যন্ত অর্জিত আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করছি। খাতগুলো হচ্ছে—
• এআই বেজড্ সলিউশন ডেভেলপমেন্ট
• সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
• ব্লকচেইন বেজড্ সলিউশন ডেভেলপমেন্ট
• রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং
• সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস
• সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস
• ডিজিটাল ডেটা এনালাইটিক্স ও ডেটা সাইয়েন্স
• মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস, ইত্যাদি

আরও পড়ুন: করমুক্ত আয় সীমা না বাড়লেও বেড়েছে সর্বোচ্চ কর সীমা

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। করব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবারই প্রথম বাজেট পেশ করেছেন। এটি দেশের ৫৩তম বাজেট।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

তিন বছর করমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে আইসিটি খাত

আপডেট: ০৫:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

দেশের তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে এই খাতের ২৭টি উপখাতে কর অব্যাহতির সুবিধা থাকলেও সেই সুবিধা কিছুটা কমে ২০টি খাতে নেমে আসতে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে বাজেট মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবনায় বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিম্নবর্ণিত আইটি সেবাসমূহসহ অন্যান্য কতিপয় খাতে ১ জুলাই ২০২৪ হতে ৩০ জুন ২০২৭ পর্যন্ত অর্জিত আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করছি। খাতগুলো হচ্ছে—
• এআই বেজড্ সলিউশন ডেভেলপমেন্ট
• সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
• ব্লকচেইন বেজড্ সলিউশন ডেভেলপমেন্ট
• রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং
• সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস
• সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস
• ডিজিটাল ডেটা এনালাইটিক্স ও ডেটা সাইয়েন্স
• মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস, ইত্যাদি

আরও পড়ুন: করমুক্ত আয় সীমা না বাড়লেও বেড়েছে সর্বোচ্চ কর সীমা

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। করব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবারই প্রথম বাজেট পেশ করেছেন। এটি দেশের ৫৩তম বাজেট।

ঢাকা/এসএইচ