০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দলবদল নিয়ে আবারও কথা বললেন মেসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

গ্রীষ্মকালীন দলবদলে চাইলেই বার্সেলোনা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারতাম। কিন্তু প্রিয় ক্লাব ছাড়ার অধ্যায়টা এমন হোক তা চাইনি। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সটাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন মেসি। ক্যারিয়ারে যা কিছু অর্জন তার সবটাই বার্সেলোনার কল্যাণে হয়েছে। মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে চান এখানেই। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন মেসি। আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলার ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

ফুটবল দুনিয়ায় লিওনেল মেসি মানেই গোলের জাদুকর। কিন্তু খেলার মাঠে মেসি যতই দুরন্ত, দুর্বার হোন না কেন। স্বভাবে একেবারেই শান্ত। সেই মেসিই এবার গণমাধ্যমে খুলে বললেন নিজের নানা অজানা কথা। এ যেন নিজে থেকেই হালকা হওয়ার চেষ্টা। গত আগস্টে ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়ে বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জনের পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন লিওনেল মেসি।

স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সটাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মেসি খুলে বলেছেন সে সময় চাইলেই নাকি ক্লাব ছাড়তে পারতেন তিনি।

মেসি বলেন, গ্রীষ্মকালীন দলবদলে আমি চাইলেই কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়া বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে পারতাম। আমাকে বেশ কয়েকজন আইনজীবী বলেছিল, আদালতে গেলে আমরাই জিতব। কিন্তু আমি এভাবে বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চাইনি। আমি বার্সেলোনাকে ভালোবাসি। আজ আমি যে অবস্থানে এসেছি। তার পুরো কৃতিত্ব বার্সেলোনার। এই ক্লাবের জার্সি মানে আমার কাছে ভিন্ন কিছু।

কঠিন সময় পেছনে ফেলে মেসি এখন বেশ ভালো ছন্দে আছেন। মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত এখানেই থাকতে চান তিনি।

মেসি আরও বলেন, আমি এখন দারুণ ছন্দে আছি। একটা সময় খুব কষ্টে কেটেছে। সেসব ভুলে আমি আমার খেলায় মনোযোগ দিয়েছি। আমি মনে করি না, আমি বিশ্বের সেরা ফুটবলার। আমি শুধু আমার দেশ এবং ক্লাবের জয়ের জন্যই খেলতে পছন্দ করি। খারাপ সময় পেছনে ফেলে সুদিন ফেরানো কঠিন বার্সেলোনার জন্য। এমন কঠিন সময়ে নেইমারকে নেওয়াটা বেশ ব্যয়বহুল হবে। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলার।

২৫ নভেম্বর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন ছিল লেওনেল মেসির জন্য।

ফুটবলার মেসি বলেন, আমি আমার বাবার কাছে প্রথম ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর পাই। এটা সত্যই মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।

 

শেয়ার করুন

x
English Version

দলবদল নিয়ে আবারও কথা বললেন মেসি

আপডেট: ০২:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

গ্রীষ্মকালীন দলবদলে চাইলেই বার্সেলোনা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারতাম। কিন্তু প্রিয় ক্লাব ছাড়ার অধ্যায়টা এমন হোক তা চাইনি। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সটাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন মেসি। ক্যারিয়ারে যা কিছু অর্জন তার সবটাই বার্সেলোনার কল্যাণে হয়েছে। মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে চান এখানেই। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন মেসি। আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলার ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

ফুটবল দুনিয়ায় লিওনেল মেসি মানেই গোলের জাদুকর। কিন্তু খেলার মাঠে মেসি যতই দুরন্ত, দুর্বার হোন না কেন। স্বভাবে একেবারেই শান্ত। সেই মেসিই এবার গণমাধ্যমে খুলে বললেন নিজের নানা অজানা কথা। এ যেন নিজে থেকেই হালকা হওয়ার চেষ্টা। গত আগস্টে ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়ে বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জনের পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন লিওনেল মেসি।

স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সটাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মেসি খুলে বলেছেন সে সময় চাইলেই নাকি ক্লাব ছাড়তে পারতেন তিনি।

মেসি বলেন, গ্রীষ্মকালীন দলবদলে আমি চাইলেই কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়া বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে পারতাম। আমাকে বেশ কয়েকজন আইনজীবী বলেছিল, আদালতে গেলে আমরাই জিতব। কিন্তু আমি এভাবে বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে চাইনি। আমি বার্সেলোনাকে ভালোবাসি। আজ আমি যে অবস্থানে এসেছি। তার পুরো কৃতিত্ব বার্সেলোনার। এই ক্লাবের জার্সি মানে আমার কাছে ভিন্ন কিছু।

কঠিন সময় পেছনে ফেলে মেসি এখন বেশ ভালো ছন্দে আছেন। মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত এখানেই থাকতে চান তিনি।

মেসি আরও বলেন, আমি এখন দারুণ ছন্দে আছি। একটা সময় খুব কষ্টে কেটেছে। সেসব ভুলে আমি আমার খেলায় মনোযোগ দিয়েছি। আমি মনে করি না, আমি বিশ্বের সেরা ফুটবলার। আমি শুধু আমার দেশ এবং ক্লাবের জয়ের জন্যই খেলতে পছন্দ করি। খারাপ সময় পেছনে ফেলে সুদিন ফেরানো কঠিন বার্সেলোনার জন্য। এমন কঠিন সময়ে নেইমারকে নেওয়াটা বেশ ব্যয়বহুল হবে। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলার।

২৫ নভেম্বর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন ছিল লেওনেল মেসির জন্য।

ফুটবলার মেসি বলেন, আমি আমার বাবার কাছে প্রথম ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর পাই। এটা সত্যই মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।