ইফতারের জন্য তৈরি করা খাবারের বেশিরভাগই ভাজাপোড়া রাখার রীতি রয়েছে এদেশে। তবে মুখরোচক এ খাবারের বড় সমস্যা দীর্ঘ সময় মচমচে না থাকা। কিন্তু আপনি কি জানেন, কয়েকটি টিপস মেনে চললে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মচমচে থাকবে আগে থেকে তৈরি করা ভাজাপোড়া খাবারগুলো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

দীর্ঘ সময় ভাজাপোড়া মচমচে রাখার জন্য রান্নার সময় এবং রান্নার পরবর্তী সময় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরজন্য আপনি যা করবেন তা হলো-

১। ভাজা পোড়া তৈরির জন্য গোলানো বেসন ভালোভাবে ফেটে নিবেন।

২। গোলানো মিশ্রণে সামান্য চালের গুড়া ও সুজি দেবেন।
৩। সম্পূর্ণ মিশ্রণ গোলানো শেষ হলে তা মিনিট দশেক ফ্রিজে রেখে দিন।
৪। এই গোলানো মিশ্রণে বেগুনি, চপ, রোল যেটাই ভাজুন না কেন দীর্ঘ সময় তা মচমচে থাকবে।

আরও পড়ুন: ব্যস্ততায়ও হোক ফিটনেস চর্চা

৫। ভাজা আরও মচমচে করতে বেসনের গোলানো মিশ্রণ বা ডিমের মিশ্রণে ডোবানোর পর ব্রেডক্রাম্ব বা বিস্কুটের গুড়ায় গড়িয়ে নিতে পারেন।
৬। কাবাব, পাকোড়া জাতীয় খাবার তৈরি করে না ভেজে ডিপ ফ্রিজে কিছুক্ষণ রাখুন। ঠান্ডা অবস্থায় ফ্রিজ থেকে বের করেই গরম তেলে ঝটপট ভেজে নিলে দীর্ঘ সময় তা মচমচে থাকে।
৭। সিঙ্গাড়া, সমুচা ভাজার জন্য রুটি তৈরিতে ময়দাতে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার আর চিনি মিশিয়ে নিন।

৮। ভাজার পর এসব খাবার কখনও ঢেকে রাখবেন না। এয়ার টাইট বক্সেও রাখবেন না। এতে ভাপে খাবারগুলো আরও নেতিয়ে যায়।
৯। দীর্ঘ সময় ভাজাপোড়া মচমচে রাখতে তৈরি ভাজাপোড়া মিডিয়াম আঁচের চুলার নিচে রেখে দিন। দীর্ঘ সময় মচমচে ও গরম থাকবে। পারলে তৈরি করা এসব খাবারের ওপর টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন।
মনে রাখবেন, দীর্ঘ সময় ইফতারে না খেয়ে থাকার পর ভাজাপোড়া খাওয়া উচিত নয়। তবুও যদি খেতে উচ্ছা হয় তবে সাথে অবশ্যই টক দই দিয়ে তৈরি বোরহানি কিংবা লাবান রাখুন।

ঢাকা/এসএইচ