পাচারের সম্পদ দেশে আনার প্রস্তাব বাতিল

- আপডেট: ১০:৩২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
- / ৪১১৫ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পাচারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেশে আনার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এখন শুধু নির্ধারিত হারে কর দিয়ে নগদ টাকা দেশে আনা যাবে। বুধবার জাতীয় সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর তিনি সেটি উপস্থাপন করলে কণ্ঠভোটে পাশ হয়। এ অর্থবিল আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
সংশোধনীতে নতুন করে একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তা হলো-দেশের বাইরে কারও সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেলে সেই সম্পদ অর্জনের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সন্তোষজনক জবাব পাওয়া না গেলে ওই সম্পদের মূল্যের সমপরিমাণ জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্ত করা হবে। বিকাল ৫টায় শুরু হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাত ৯টা পর্যন্ত অধিবেশন চলে। শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অর্থবিলের ওপর প্রশ্ন-উত্তর উপস্থাপন করেন। পরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বিলটি পাশের প্রস্তাব করেন।
সংসদে বিল পাশ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ-সদস্যদের দেওয়া সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে অর্থবিল ২০২২ জাতীয় সংসদে পাশ হয়।
বিদেশ থেকে পাচারের সম্পদ ফেরত আনতে গত ৯ জুন ঘোষিত বাজেটে বিশেষ সুযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, স্থাবর সম্পদ দেশে আনার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অস্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর দিয়ে ফেরত আনা যাবে।
আর কেউ যদি নগদ টাকা দেশে আনতে চায় তাকে কর দিতে হবে ৭ শতাংশ। এ নিয়ে দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মূলত এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট প্রস্তাবে এই সংশোধন আনা হয়েছে।
সংশোধনীতে শুধু নগদ টাকা আনার সুযোগ রেখে বাকি দুটি অর্থাৎ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ আনার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা তার বক্তেব্যে বলেন, অর্থনৈতিক এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজমান নয়। এটি সবাই স্বীকার করেন।
কিন্তু যদি আজকে স্বাভাবিক সময় হতো, তাহলে যেসব প্রস্তাব সংশোধনের প্রস্তাব আমাদের কাছে আসছে আমরা অনেক সংশোধনী গ্রহণ করতে পারতাম।
যেহেতু আমি আগেই বলেছি সময়টি এখন স্বাভাবিক নয়, সে বিবেচনায় আমি বাকি সংশোধনীগুলো ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও গ্রহণ করতে পারছি না। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমি বিশেষভাবে আরও একবার বহুবার ধন্যবাদ জানাতে চাই, কেননা, পদ্মা সেতুর হাত ধরে তিনি আমাদের বিশ্ব মানচিত্রে এক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সময়ে, জিডিপিতে ১৮৮% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম, যেখানে ১৭৭% প্রবৃদ্ধি নিয়ে চায়না দ্বিতীয়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হিসাবে ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির হার হবে এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ঢাকা/এসএ