পুঁজিবাজার ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব: অ্যাকশনে বিএসইসি

- আপডেট: ০৮:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪১১৬ বার দেখা হয়েছে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মূল্যসহ দাম বৃদ্ধির ভবিষ্যৎ বাণী দিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ওরফে হল্টেড মিজান নামে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে কমিশন। সম্প্রতি বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রমতে, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিএসইসির জারি করা আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দর ভবিষ্যতে বাড়ার তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন তথ্য ছড়াতেন মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান ছাড়াও আরও বেশ কিছু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভবিষ্যৎ বাণী’ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও কমিশন কাজ করছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বছরের আগস্টের শেষের দিকে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে দুই সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৮ নং আইন, ১৯৬৯) এর সেকশন ২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আদেশটি জারি করা হয়।
আদেশ অমান্য করলে অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ৬ মার্চ কাতারে বিএসইসির রোডশো: উদ্ভোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. কামাল হোসাইন ও এইচ এম সালেহ সাদমান। গঠিত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আয়মান নাহিয়ান কল্লোলসহ অন্যান্য গুজব রটনাকারীদের নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গঠিত তদন্ত কমিটি মিজানুর রহমানের দুটি ফোন নম্বর ও মেইল আইডি শনাক্ত করে। তা দিয়ে তার বিও হিসাব খুঁজে বের করা হয়। গুজব ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্টের মাধ্যমে মিজানুর রহমান কী পরিমাণ লাভবান হয়েছেন, তা বের করা হয়। এরপর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।
ঢাকা/এসএ