১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

পুলক-মান্না দে যুগলে প্রভাবিত বাংলা গান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১
  • / ৪১৫৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুলক মানেই চমক। শিহরণ জাগানিয়া একটি প্রত্যয়। পুলক মানে মনের গহীনে কাব্যিক সুষমায় আলোড়ন তোলা একজন গীতীকবি। কবিতার সাজে ছবি বা ছবির সাজে কবিতার যে কথা হরহামেশা আমরা বলি তা যেন মায়াময় পূর্ণতার বন্ধনে শানানো একটি স্থায়ী অন্তরা তিনি। বাংলা গানের কিংবদন্তী গীতিকার পুলক বন্দোপাধ্যায়।

‘ক ফোঁটা চোখের জল’, ‘জানি তোমার প্রেমের যোগ্য আমি তো নই’, ‘যাবার আগে কিছু বলে গেলে না’, ‘তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন’, ‘পৌষের কাছাকাছি রোদমাখা সেই দিন’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘বহুদূর থেকে একথা’, ‘ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কী’, ‘আমার বলার কিছু ছিল না’, ‘নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা’, ‘এক বৈশাখে দেখা হলো দুজনায়’, ‘আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব হারিয়ে যাব’ এসব গান শোনেননি এমন বাংলা গানপ্রিয় মানুষ হয়তো নেই।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

তাৎক্ষণিকভাবে ও যেকোনও পরিস্থিতিতে হুট করে গান রচনায় পুলক বন্দোপাধ্যায়ের জুড়ি মেলা ভার। একবার পূজার একটা গান নিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির পুলক বাবু। সেবার অনেকদিন বাদেই দেখা হয়েছিল দুজনের।

কাজ শেষ হতেই হেমন্ত বললেন, ‘আরে পুলক কতোদিন পরে এলে, বোসো একটু।’ কিছুক্ষণ পর সেখানে বসেই লিখে ফেললেন অমর সেই গান ‘কতোদিন পরে এলে একটু বোসো, তোমায় অনেক কথা বলার ছিল যদি শোন’। হেমন্তসহ উপস্থিত সকলেই তখন একদম নির্বাক হয়ে রইলেন।

একবার মান্না দেকে ভূপেন হাজারিকা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আচ্ছা মান্না দা কী করে তুমি এতো সুন্দর গান গাও বলতো।’ মান্না দে বললেন, ‘ভূপেন এই জীবনে যদি পুলকের জন্ম না হতো তাহলে মান্না দেরও বুঝি জন্ম হতো না।’

গোটা সংগীত জীবনে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশী গান রেকর্ড করে যিনি বাংলা কিংবা হিন্দী ভাষার মানুষের কাছে প্রবাদপ্রতিম হয়ে আছেন, তিনি বাংলা গানের আরেক বরপুত্র মান্না দে।

প্রবোধ চন্দ্র দে থেকে কীভাবে মান্না দে হয়ে উঠলেন তা ভক্তরা নিশ্চয়ই জানেন। মোহনীয় কণ্ঠের বৈচিত্রময় যাদু আর হৃদয়স্পর্শী গায়কী দিয়ে আজো তিনি চিরজাগরুক হয়ে মিশে আছেন প্রতিটি বাঙালীর মন ও মননে।

শুধু বাংলা গানেই নয় হিন্দি, মারাঠী ও অন্যান্য ভাষায় মান্না দে যেসব গান গেয়েছেন তা সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে আজো চির অমলিন হয়ে আছে। ‘পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া’ থেকে ‘কেতকী গুলাব জুহি’, ‘লাগা চুনরি মে দাগ’, ‘জিন্দেগী ক্যায়সি হ্যায় পহেলি’, ‘ইয়ে রাত ভিগি, ভিগি’, ‘তু প্যায়ার কা সাগর হ্যায়’সহ তার গাওয়া বহু হিন্দি গান নবীন-প্রবীণ সব বয়সের মানুষের মুখে মুখে আজো ফিরে।

গতকাল (১ মে) ছিল মান্নাদে’র আর আজ (২ মে) পুলক বন্দোপাধ্যায়ের জন্মদিন। বাংলা গানের জগতে এই দুজন অমর দিকপাল আজো সমকালীন, চিরকালীনও বটে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

পুলক-মান্না দে যুগলে প্রভাবিত বাংলা গান

আপডেট: ০৭:১৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুলক মানেই চমক। শিহরণ জাগানিয়া একটি প্রত্যয়। পুলক মানে মনের গহীনে কাব্যিক সুষমায় আলোড়ন তোলা একজন গীতীকবি। কবিতার সাজে ছবি বা ছবির সাজে কবিতার যে কথা হরহামেশা আমরা বলি তা যেন মায়াময় পূর্ণতার বন্ধনে শানানো একটি স্থায়ী অন্তরা তিনি। বাংলা গানের কিংবদন্তী গীতিকার পুলক বন্দোপাধ্যায়।

‘ক ফোঁটা চোখের জল’, ‘জানি তোমার প্রেমের যোগ্য আমি তো নই’, ‘যাবার আগে কিছু বলে গেলে না’, ‘তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন’, ‘পৌষের কাছাকাছি রোদমাখা সেই দিন’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘বহুদূর থেকে একথা’, ‘ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কী’, ‘আমার বলার কিছু ছিল না’, ‘নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা’, ‘এক বৈশাখে দেখা হলো দুজনায়’, ‘আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব হারিয়ে যাব’ এসব গান শোনেননি এমন বাংলা গানপ্রিয় মানুষ হয়তো নেই।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

তাৎক্ষণিকভাবে ও যেকোনও পরিস্থিতিতে হুট করে গান রচনায় পুলক বন্দোপাধ্যায়ের জুড়ি মেলা ভার। একবার পূজার একটা গান নিয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির পুলক বাবু। সেবার অনেকদিন বাদেই দেখা হয়েছিল দুজনের।

কাজ শেষ হতেই হেমন্ত বললেন, ‘আরে পুলক কতোদিন পরে এলে, বোসো একটু।’ কিছুক্ষণ পর সেখানে বসেই লিখে ফেললেন অমর সেই গান ‘কতোদিন পরে এলে একটু বোসো, তোমায় অনেক কথা বলার ছিল যদি শোন’। হেমন্তসহ উপস্থিত সকলেই তখন একদম নির্বাক হয়ে রইলেন।

একবার মান্না দেকে ভূপেন হাজারিকা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আচ্ছা মান্না দা কী করে তুমি এতো সুন্দর গান গাও বলতো।’ মান্না দে বললেন, ‘ভূপেন এই জীবনে যদি পুলকের জন্ম না হতো তাহলে মান্না দেরও বুঝি জন্ম হতো না।’

গোটা সংগীত জীবনে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশী গান রেকর্ড করে যিনি বাংলা কিংবা হিন্দী ভাষার মানুষের কাছে প্রবাদপ্রতিম হয়ে আছেন, তিনি বাংলা গানের আরেক বরপুত্র মান্না দে।

প্রবোধ চন্দ্র দে থেকে কীভাবে মান্না দে হয়ে উঠলেন তা ভক্তরা নিশ্চয়ই জানেন। মোহনীয় কণ্ঠের বৈচিত্রময় যাদু আর হৃদয়স্পর্শী গায়কী দিয়ে আজো তিনি চিরজাগরুক হয়ে মিশে আছেন প্রতিটি বাঙালীর মন ও মননে।

শুধু বাংলা গানেই নয় হিন্দি, মারাঠী ও অন্যান্য ভাষায় মান্না দে যেসব গান গেয়েছেন তা সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে আজো চির অমলিন হয়ে আছে। ‘পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া’ থেকে ‘কেতকী গুলাব জুহি’, ‘লাগা চুনরি মে দাগ’, ‘জিন্দেগী ক্যায়সি হ্যায় পহেলি’, ‘ইয়ে রাত ভিগি, ভিগি’, ‘তু প্যায়ার কা সাগর হ্যায়’সহ তার গাওয়া বহু হিন্দি গান নবীন-প্রবীণ সব বয়সের মানুষের মুখে মুখে আজো ফিরে।

গতকাল (১ মে) ছিল মান্নাদে’র আর আজ (২ মে) পুলক বন্দোপাধ্যায়ের জন্মদিন। বাংলা গানের জগতে এই দুজন অমর দিকপাল আজো সমকালীন, চিরকালীনও বটে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: