০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৬৯ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অর্থিক খাতের গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটি (জিএফআই)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংস্থাটি বলছে, প্রতি বছর গড়ে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট এই দেশ থেকে! যার বড় একটি অংশই পাচার হয়েছে তথাকথিত ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে’।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেভাবেই হোক পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। তারা আরও বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরেই ডলার সংকট, ভঙ্গুর অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধ টানাপোড়েনে দেশের অর্থনীতি, যার অন্যতম কারণ অর্থপাচার। বৈশ্বিক বাণিজ্যভিত্তিক কারসাজি, হুণ্ডি, চোরাচালানসহ নানাবিধ পন্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে লক্ষাধিক কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: আইএমএফ আরও ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক: অর্থ উপদেষ্টা

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, গত দেড় যুগে দেশের ১৯টি ব্যাংকে আত্মসাৎ করা মাত্র ২৪টি ঋণ কেলেঙ্কারির মাধ্যমেই প্রায় একশো হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুধু ব্যক্তি উদ্যোগেই নয়, অর্থ পাচার প্রক্রিয়ায় পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়েছে দেশের একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি- বেসরকারি ব্যাংকও।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বেশ কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশ বহু দেশের সঙ্গে একাধিক চুক্তি করে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সেইসব চুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ জারি রাখতে পারে বর্তমান সরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করার ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন এজেন্সি আছে। বিদেশের সঙ্গেও আমাদের বেশ কিছু নেটওয়ার্ক আছে। তাই সেগুলোও আমাদের ব্যবহার করতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৮০ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৬:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অর্থিক খাতের গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটি (জিএফআই)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংস্থাটি বলছে, প্রতি বছর গড়ে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট এই দেশ থেকে! যার বড় একটি অংশই পাচার হয়েছে তথাকথিত ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে’।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেভাবেই হোক পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। তারা আরও বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরেই ডলার সংকট, ভঙ্গুর অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধ টানাপোড়েনে দেশের অর্থনীতি, যার অন্যতম কারণ অর্থপাচার। বৈশ্বিক বাণিজ্যভিত্তিক কারসাজি, হুণ্ডি, চোরাচালানসহ নানাবিধ পন্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে লক্ষাধিক কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: আইএমএফ আরও ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক: অর্থ উপদেষ্টা

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, গত দেড় যুগে দেশের ১৯টি ব্যাংকে আত্মসাৎ করা মাত্র ২৪টি ঋণ কেলেঙ্কারির মাধ্যমেই প্রায় একশো হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুধু ব্যক্তি উদ্যোগেই নয়, অর্থ পাচার প্রক্রিয়ায় পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়েছে দেশের একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি- বেসরকারি ব্যাংকও।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বেশ কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশ বহু দেশের সঙ্গে একাধিক চুক্তি করে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সেইসব চুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ জারি রাখতে পারে বর্তমান সরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করার ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন এজেন্সি আছে। বিদেশের সঙ্গেও আমাদের বেশ কিছু নেটওয়ার্ক আছে। তাই সেগুলোও আমাদের ব্যবহার করতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ