১২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাঁশিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় করা যায় কি-না যাচাইয়ের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫২ বার দেখা হয়েছে

বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বাঁশিকে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে পড়ানো যায় কি-না তা যাচাইবাছাই করে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাঁশি প্রেমিক উত্তর কুমার চক্রবর্তীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির চেয়ারম্যানকে এ চিঠি পাঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নুর-ই-আলম। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ললিতকলা অনুষদের সঙ্গীত বিভাগে বাঁশিকে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন উত্তর কুমার চক্রবর্তী নামের একজন বাঁশি প্রেমিক ব্যক্তি। তার আবেদনটি আমলে নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তাই বাঁশিকে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি-না তা যাচাইবাছাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এর আগে ডিসেম্বরে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বাঁশিকে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন উত্তর কুমার চক্রবর্তী। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, বাঙালির নিজস্ব ছয়শ রকমের বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে বাঁশি অন্যতম। এ উপমহাদেশে যা বাঁশি নামে খ্যাত। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দ থেকে বাঁশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বিশেষ হিসেবে এখনও প্রচলিত আছে। আমি বাঁশি শিল্পের একজন সেবক হিসেবে উপলব্ধি করলাম এ শিল্পের উন্নয়নে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানও নেই।

তাই প্রাণের সুর বাঁশির প্রতি আগ্রহী মানুষের কথা ভেবেই এর উন্নয়ন রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছু করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের মানুষের বাঁশির প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। আমরা যদি জনপ্রিয় বাঁশির ঐতিহ্যের বিকাশ ঘটাতে পারি তবে এ কর্মকাণ্ড জাতি মনে রাখবে ও জাতির স্ববৈশিষ্ট্য উদ্দীপ্ত করবে।

আবেদনে তিনি আরও লিখেন, বাঁশি জাতির অন্তরে ও বাইরে এক প্রবাহ অনুরণন সৃষ্টি করে। নাগরিকরা আত্মমর্যাদা ও মানবিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হয়ে উঠবে। বাঁশি মানুষকে জাগ্রত করে এবং উপলব্ধি ও জীবনবোধের আনন্দ সঞ্চয় করে।

শিক্ষামন্ত্রীকে তিনি লিখেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সঙ্গীত বিভাগে গান ও অন্যান্য যন্ত্রের ক্লাস নেওয়া হলেও বাঁশির কোনো বিষয় নেই। তাই বাঁশি শিল্পের সৌন্দর্য, আনন্দ ও অন্তর্নিহিত শক্তিকে তুলে ধরতে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায় ইউজিসির মাধ্যমে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত বিষয় আছে সেখানে বাঁশিকে বিষয় হিসেৰে চালু করার হয়। যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বাঁশির সম্পর্কে জানতে পারে এবং এর ওপর পড়াশোনা করে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে বাংলাদেশের বাঁশিকে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনকভাবে তুলে ধরতে পারে।

শেয়ার করুন

x
English Version

বাঁশিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় করা যায় কি-না যাচাইয়ের নির্দেশ

আপডেট: ০৭:২১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বাঁশিকে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে পড়ানো যায় কি-না তা যাচাইবাছাই করে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাঁশি প্রেমিক উত্তর কুমার চক্রবর্তীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির চেয়ারম্যানকে এ চিঠি পাঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নুর-ই-আলম। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ললিতকলা অনুষদের সঙ্গীত বিভাগে বাঁশিকে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন উত্তর কুমার চক্রবর্তী নামের একজন বাঁশি প্রেমিক ব্যক্তি। তার আবেদনটি আমলে নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তাই বাঁশিকে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি-না তা যাচাইবাছাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এর আগে ডিসেম্বরে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বাঁশিকে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন উত্তর কুমার চক্রবর্তী। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, বাঙালির নিজস্ব ছয়শ রকমের বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে বাঁশি অন্যতম। এ উপমহাদেশে যা বাঁশি নামে খ্যাত। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দ থেকে বাঁশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বিশেষ হিসেবে এখনও প্রচলিত আছে। আমি বাঁশি শিল্পের একজন সেবক হিসেবে উপলব্ধি করলাম এ শিল্পের উন্নয়নে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানও নেই।

তাই প্রাণের সুর বাঁশির প্রতি আগ্রহী মানুষের কথা ভেবেই এর উন্নয়ন রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছু করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের মানুষের বাঁশির প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। আমরা যদি জনপ্রিয় বাঁশির ঐতিহ্যের বিকাশ ঘটাতে পারি তবে এ কর্মকাণ্ড জাতি মনে রাখবে ও জাতির স্ববৈশিষ্ট্য উদ্দীপ্ত করবে।

আবেদনে তিনি আরও লিখেন, বাঁশি জাতির অন্তরে ও বাইরে এক প্রবাহ অনুরণন সৃষ্টি করে। নাগরিকরা আত্মমর্যাদা ও মানবিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হয়ে উঠবে। বাঁশি মানুষকে জাগ্রত করে এবং উপলব্ধি ও জীবনবোধের আনন্দ সঞ্চয় করে।

শিক্ষামন্ত্রীকে তিনি লিখেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সঙ্গীত বিভাগে গান ও অন্যান্য যন্ত্রের ক্লাস নেওয়া হলেও বাঁশির কোনো বিষয় নেই। তাই বাঁশি শিল্পের সৌন্দর্য, আনন্দ ও অন্তর্নিহিত শক্তিকে তুলে ধরতে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায় ইউজিসির মাধ্যমে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত বিষয় আছে সেখানে বাঁশিকে বিষয় হিসেৰে চালু করার হয়। যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বাঁশির সম্পর্কে জানতে পারে এবং এর ওপর পড়াশোনা করে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে বাংলাদেশের বাঁশিকে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনকভাবে তুলে ধরতে পারে।