নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য এ বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশের জিডিপি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তুলনামূলকভাবে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনো কম। আমাদের রেমিট্যান্স আয়ও বাড়ছে। এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে। তাই, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং অশেষ সম্ভাবনা আছে বলে মন্তব্য করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

সোমবার দোহার সেন্ট রেজিস হোটেলে কাতারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

অনুষ্ঠানে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শেয়ারবাজারে ডেরিভেটিভ পণ্য অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সাথে, কাতারের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ আহবান রাখেন।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজরে লেনদেন বন্ধ থাকবে কাল

আমাদের পুঁজিবাজারকে আরও উন্নত করতে বিএসইসি কঠোর পরিশ্রম করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ড মার্কেটকে একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা শিগগিরই আমাদের পুঁজিবাজারে ডেরিভেটিভ পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা অন্তত দশটি ইউনিকর্ন (মেগা বিনিয়োগ ও উদ্যোগ) পেতে চাই। আমাদের প্রাণবন্ত স্টার্ট আপ কাতারের বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। কাতারের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের পোর্টফোলিও হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভবনা তুলে ধরে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া দুটি আলাদা প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন।

উল্লেখ্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে (এলডিসি-৫) যোগ দিতে গত শনিবার কাতার সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৮ মার্চ তিনি দেশে ফিরবেন।

ঢাকা/টিএ