০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে মার্কিন-চীন প্রভাব? যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩২৪ বার দেখা হয়েছে

ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলন ও গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের ঘটনায় গুঞ্জন-জল্পনায় উঠে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা। ভাসছে চীনের প্রভাবের কথাও। এমন অবস্থায় হাসিনাকে উৎখাতের পেছনে ভূমিকা রাখা গণআন্দোলন ও বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি।

দেশটি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল না। এছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত ও আগ্রহী বলে আবারও জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে চীনের প্রভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই একমাস পার করেছে। গত ৫ আগস্ট ও তার পূর্ববর্তী সময়ে অস্থিরতার পরে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সাথে — বিশেষ করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে — জড়িত হওয়ার পরিকল্পনা করছে? এবং দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে চীনা প্রভাবের দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে এবং এই অঞ্চলে কি কোনও কৌশলগত উদ্বেগ আছে বলে মনে করছে কিনা?

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, না হলে মানুষ শান্তিতে থাকবে না: ইউনূস

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, দেখুন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত এবং আগ্রহী। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চলেছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

পৃথক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক বলেন, কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও ভারত ঐতিহাসিকভাবেই ক্ষমতাচ্যুত (হাসিনা) সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, এই অভিযোগ কি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে চাপে ফেলতে পারে?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি সেই রিপোর্টগুলো দেখিনি। তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, সেগুলো সত্য নয়। এই কারণেই হয়তো আমি সেসব রিপোর্ট দেখিনি।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে মার্কিন-চীন প্রভাব? যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: ০১:১৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলন ও গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের ঘটনায় গুঞ্জন-জল্পনায় উঠে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা। ভাসছে চীনের প্রভাবের কথাও। এমন অবস্থায় হাসিনাকে উৎখাতের পেছনে ভূমিকা রাখা গণআন্দোলন ও বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি।

দেশটি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল না। এছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত ও আগ্রহী বলে আবারও জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে চীনের প্রভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই একমাস পার করেছে। গত ৫ আগস্ট ও তার পূর্ববর্তী সময়ে অস্থিরতার পরে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সাথে — বিশেষ করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে — জড়িত হওয়ার পরিকল্পনা করছে? এবং দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে চীনা প্রভাবের দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে এবং এই অঞ্চলে কি কোনও কৌশলগত উদ্বেগ আছে বলে মনে করছে কিনা?

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, না হলে মানুষ শান্তিতে থাকবে না: ইউনূস

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, দেখুন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত এবং আগ্রহী। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চলেছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

পৃথক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক বলেন, কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও ভারত ঐতিহাসিকভাবেই ক্ষমতাচ্যুত (হাসিনা) সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, এই অভিযোগ কি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে চাপে ফেলতে পারে?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি সেই রিপোর্টগুলো দেখিনি। তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, সেগুলো সত্য নয়। এই কারণেই হয়তো আমি সেসব রিপোর্ট দেখিনি।

ঢাকা/এসএইচ