বাংলাদেশ সীমান্তে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করছে ভারত
- আপডেট: ০১:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১০২৭০ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশ সীমান্তে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। একইসঙ্গে দেশটি এই পদক্ষেপ পাকিস্তান সীমান্তেও নেওয়ার কথা বলেছে। ভারতের দাবি, সীমান্তের অন্য পাশ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় ব্যাপকভাবে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েন করবে তারা। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সীমান্তে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। সীমান্তের অন্য পাশ থেকে আসা মনুষ্যবিহীন আকাশযানের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সীমানা সুরক্ষিত করার জন্য ব্যাপকভাবে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট স্থাপন করবে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সেনাদের প্রশিক্ষণ শিবিরে ৬০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ড্রোন হুমকির গুরুত্ব এবং ভারতের সক্রিয় পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
অমিত শাহ বলেন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সাথে সমগ্র সীমান্তে “সংবেদনশীল এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ” করার জন্য ব্যাপকভাবে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে ভারত। তিনি বলেন, মানববিহীন আকাশযানের মাধ্যমে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সীমানা সুরক্ষিত করতে বিস্তৃত অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করবে ভারত।
আরও পড়ুন: ‘কলকাতা দখল’ মন্তব্য নিয়ে মমতা বললেন, আমরা ললিপপ চুষব?
শাহ আরও বলেন, “লেজার-সজ্জিত অ্যান্টি-ড্রোন গান-মাউন্টেড” ম্যাকানিজমের প্রাথমিক ফলাফল বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক, যার ফলে পাঞ্জাবের পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে ড্রোন নিষ্ক্রিয়করণ এবং শনাক্তকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতীয় একটি সংবাদপত্র দেশটির সরকারি তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রায় ১১০টির তুলনায় এই বছর ২৬০টিরও বেশি ড্রোন পাকিস্তানের সাথে ভারতের সীমান্ত থেকে ভূপাতিত বা উদ্ধার করা হয়েছে। ড্রোন আটকানোর এই ঘটনাগুলোর বেশিরভাগই হয়েছে পাঞ্জাবে। তবে রাজস্থান এবং জম্মুতে এই সংখ্যা খুব কম।
পাকিস্তানের সাথে ভারতের ২ হাজার ২৮৯ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বিএসএফের ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য চলমান কম্পিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইবিএমএস) নিয়েও আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, এই কাজটি চলমান রয়েছে। তার ভাষায়, “আসামের ধুবরি (ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত) সীমান্তের নদী এলাকায় মোতায়েন করা সিআইবিএমএস থেকে আমরা উৎসাহজনক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, তবে এক্ষেত্রে আরও কিছু উন্নতি করা প্রয়োজন।”
অন্যদিকে ভারতের একটি সরকারি বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “আরও কিছু উন্নতির পর এই ব্যবস্থা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে সমগ্র সীমান্তজুড়ে প্রয়োগ করা হবে।”
গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে এবং এর মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা সামনে এলো।
ঢাকা/এসএইচ