বাজারের পতনে ভূমিকা রেখেছে যেসব কোম্পানি
- আপডেট: ০৬:৫৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১০২৮৯ বার দেখা হয়েছে
আগের দিন উত্থান হলেও সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মাসের শেষ কর্মদিবস পতন হয় শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারে যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে তার চেয়ে বেশি সংখ্যকের দাম কমেছে। এর মাধ্যমে পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। শেয়ারবাজারকে পতনে ঠেলে দিতে ১১ কোম্পানির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
কোম্পানিগুলো হলোঃ ইসলামী ব্যাংক, রেনেটা, লিনডে বিডি, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, এমজেএলবিডি, সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এবং যমুনা ব্যাংক।
ইসলামী ব্যাংক
বাজারকে পতনে ঠেলে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকার রেখেছে ইসলামী ব্যাংক। আগের দিন ব্যাংকটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৭ টাকা ৮০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৬৫ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেযার দর ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৩.৬৯ শতাংশ কমেছে। শেয়ার দর পতনের কারণে সূচক কমেছে ১৬.৭১ পয়েন্ট। বাজারকে পতনে ঠেলে দিতে ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে।
রেনেটা
রেনেটা হচ্ছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি। এই কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং দর গতকাল ছিল ৭২৩ টাকা ২০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৭০০ টাকা ৬০ পয়সায়। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ২২ টাকা ৬০ পয়সা বা ৩.১৩ শতাংশ কমেছে। এতেই কোম্পানিটির সূচক কমেছে ৫.২৫ পয়েন্ট। এতে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার পতনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে।
লিনডে বিডি
আজ শেয়ারবাজার পতনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে লিনডে বিডি। আজ এই কোম্পানির শেয়ার দর ৭৮ টাকা ১০ পয়সা বা ৬.২৫ শতাংশ কমেছে। শেয়ার দর কমার কারণে কোম্পানিটির সূচক কমেছে ১.৯৮ পয়েন্ট। আগের দিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১ হাজার ২৪৯ টাকা ৯০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১ হাজার ১৭১ টাকা ৮০ পয়সা।
আরও পড়ুন: ডিএসই পর্ষদের অনুপস্থিতিতে বাজারের কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে: ডিবিএ
বাজারকে পতনে ঠেলে দিতে অন্য যেসব কোম্পানির ভূমিকার রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১.৭৬ পয়েন্ট, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১.৭৪ পয়েন্ট, আইএফআইসির ১.৬০ পয়েন্ট, এমজেএলবিডির ১.৩৫ পয়েন্ট, সিটি ব্যাংকের ১.১৭ পয়েন্ট, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১.১৩ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ১.০২ পয়েন্ট এবং যমুনা ব্যাংকের সূচক ১ পয়েন্ট কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভার রয়েছে। যার কারণে এগুলোর শেয়ার ছাড়তে অস্থিরতা দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের। বিক্রির চাপে শেয়ারগুলোর দাম কমেছে। আর এতে বাজারকে পতনের দিকে ঠেলতে কোম্পানিগুলোর ভূমিকা রেখেছে। আশার করা যাচ্ছে বাজারে এমন পরিস্থিতি থাকবে না। খুব শিগগিরই বাজারে আস্থা ফিরে আসবে। আর বাজারও স্থিতিশলীতায়ফিরবে।
ঢাকা/এসএইচ