০৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে রয়েছে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের অভিযোগ

বিএসইসি ও ডিএসই’র সার্ভিল্যান্সের ‘নাকের ডগায়’ চলছে কারসাজি!

বিশেষ প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১১৬০৮ বার দেখা হয়েছে

নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ের একাধিক ঘটনায় এই বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। শেয়ারবাজারে কারসাজির ঘটনা থামছে না, বরং নতুন নতুন কৌশলে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ, বাজারের এসব অনিয়ম ধরার জন্য থাকা সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিশেষ করে, কিছু ক্ষেত্রে সার্ভিল্যান্স বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা শেয়ারবাজারের স্পর্শকাতর তথ্য আগে থেকেই পেয়ে গোপনে লেনদেন করছেন অথবা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুবিধা দিচ্ছেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হচ্ছেন, আর কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বিপুল অর্থ লাভ করছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা যদি কার্যকরভাবে কাজ করত, তাহলে নিয়মিত এসব কারসাজি ধরা পড়ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই কারসাজির ঘটনা নজরদারি বিভাগের ‘নাকের ডগায়’ ঘটলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, বরং কখনও কখনও অভিযোগ উঠছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন বা নির্দিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহলের সঙ্গে যোগসাজশ করছেন।

তারা বলছেন,  বিএসইসি ও ডিএসইতে দুটি সার্ভিল্যান্স (নজরদারি) টিম রয়েছে, যারা কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনে সার্বক্ষণিক নজরদারি করে। কোনো কোম্পানির শেয়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে অথবা কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো হলে সবার আগে এই দুই সার্ভিল্যান্স টিম বুঝতে পারে। কারণ কোনো কোম্পানির শেয়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সীমায় যখনই পৌঁছায়, তখনই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সিগন্যাল দিয়ে থাকে। সার্ভিল্যান্স টিম সেই সিগন্যালকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। তারা কারসাজিকারকদের সাথে হাত মিলিয়ে এই সিগন্যালকে দেখেও না দেখার ভান করে। কারসাজি চক্রের স্বার্থহাসিল হওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে টিম দুটি। অথচ যখনই সফটওয়্যার সিগন্যাল দেয়, তখনই যদি কোম্পানিটির ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতো সার্ভিল্যান্স টিম, তাহলে তারা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকে।

আলাপকালে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ. হাফিজ বিজনেস জার্নালকে বলেন, কারসাজি চক্র সাধারণত রুগ্ন কোম্পানিগুলোকে বেছে নেয়। কারণ এসব কোম্পানিতে সাধারণত জবাবদিহিতা নেই, সুশাসন নেই। এসব কোম্পানির কোনো কোনোটির কারখানা ও অফিসের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারসাজি চক্র বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজ, বিএসইসি, ডিএসই, সিএসইর কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কোম্পানি কর্তৃপক্ষের প্রত্যেক্ষ সহযোগিতায় শেয়ার কারসাজি করে থাকে। এসব কারসাজির শুরুতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সার্ভিল্যান্স টিম বুঝতে পারে। কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অধিকাংশ সময়ই সঠিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে না। তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করতো, তবে কারসাজির হোতাদের কারসাজি অনেকাংশে কমে যেতো।

এসব বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিজনেস জার্নালকে বলেন, ডিএসই মডার্ন সফটওয়্যার দিয়ে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন সার্ভিল্যান্স করে থাকে। কিন্তু পুরাতন ভার্সনের সফটওয়্যার দিয়ে আমাদের সার্ভিল্যান্স টিম কাজ করছে। যে কারণে আমরা অনেক সময় শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিষয়টি বুঝতে পারি না। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে মডার্ন সফটওয়্যার আমাদের হাতে আসবে, কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন সার্ভিল্যান্স করার জন্য। তখন আমাদের সার্ভিল্যান্স টিম আরও ভালোভাবে কাজ করবে। আর কমিশনের সার্ভিল্যান্স টিম সঠিকভাবে কাজ করছে না, এই কথাটি কিছুটা সত্য, তবে পুরোপুরি সত্য নয়।

তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে,  গত ২৩ ডিসেম্বর খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। এখান থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকহারে বাড়া শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর এসে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ ৩২৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।

আরও পড়ুন: শিবলী রুবাইয়াতের জামিন চাইলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা!

গত মাসের শেষ সপ্তাহে ডেল্টা স্পিনিংয়ের সম্মিলিতভাবে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৫ টাকা। কোম্পানিটি ‘জেড’ গ্রুপে অবস্থান করছে। এছাড়াও এই সময়ে ‘জেড’ গ্রুপের আরও চারটি কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবি বৃদ্ধি পায়। কোম্পানিগুলো হলো- তাল্লু স্পিনিং, প্রাইম টেক্সটাইল, গ্লোবাল হেবি কেমিক্যাল এবং খুলনা পাওয়ার। এর মধ্যে তাল্লু স্পিনিংয়ের ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, গ্লোবাল হেবি কেমিক্যালের ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং খুলনা পাওয়ারের শেয়ারের দাম ৮ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।

বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে বাজারে স্বচ্ছতা ও আস্থা আরও কমে যাবে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বিএসইসি কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগগুলো কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয় কি না।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে রয়েছে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের অভিযোগ

বিএসইসি ও ডিএসই’র সার্ভিল্যান্সের ‘নাকের ডগায়’ চলছে কারসাজি!

আপডেট: ০৩:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ের একাধিক ঘটনায় এই বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। শেয়ারবাজারে কারসাজির ঘটনা থামছে না, বরং নতুন নতুন কৌশলে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ, বাজারের এসব অনিয়ম ধরার জন্য থাকা সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিশেষ করে, কিছু ক্ষেত্রে সার্ভিল্যান্স বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা শেয়ারবাজারের স্পর্শকাতর তথ্য আগে থেকেই পেয়ে গোপনে লেনদেন করছেন অথবা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুবিধা দিচ্ছেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হচ্ছেন, আর কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বিপুল অর্থ লাভ করছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা যদি কার্যকরভাবে কাজ করত, তাহলে নিয়মিত এসব কারসাজি ধরা পড়ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই কারসাজির ঘটনা নজরদারি বিভাগের ‘নাকের ডগায়’ ঘটলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, বরং কখনও কখনও অভিযোগ উঠছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন বা নির্দিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহলের সঙ্গে যোগসাজশ করছেন।

তারা বলছেন,  বিএসইসি ও ডিএসইতে দুটি সার্ভিল্যান্স (নজরদারি) টিম রয়েছে, যারা কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনে সার্বক্ষণিক নজরদারি করে। কোনো কোম্পানির শেয়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে অথবা কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো হলে সবার আগে এই দুই সার্ভিল্যান্স টিম বুঝতে পারে। কারণ কোনো কোম্পানির শেয়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সীমায় যখনই পৌঁছায়, তখনই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সিগন্যাল দিয়ে থাকে। সার্ভিল্যান্স টিম সেই সিগন্যালকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। তারা কারসাজিকারকদের সাথে হাত মিলিয়ে এই সিগন্যালকে দেখেও না দেখার ভান করে। কারসাজি চক্রের স্বার্থহাসিল হওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে টিম দুটি। অথচ যখনই সফটওয়্যার সিগন্যাল দেয়, তখনই যদি কোম্পানিটির ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতো সার্ভিল্যান্স টিম, তাহলে তারা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকে।

আলাপকালে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ. হাফিজ বিজনেস জার্নালকে বলেন, কারসাজি চক্র সাধারণত রুগ্ন কোম্পানিগুলোকে বেছে নেয়। কারণ এসব কোম্পানিতে সাধারণত জবাবদিহিতা নেই, সুশাসন নেই। এসব কোম্পানির কোনো কোনোটির কারখানা ও অফিসের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারসাজি চক্র বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজ, বিএসইসি, ডিএসই, সিএসইর কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও কোম্পানি কর্তৃপক্ষের প্রত্যেক্ষ সহযোগিতায় শেয়ার কারসাজি করে থাকে। এসব কারসাজির শুরুতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সার্ভিল্যান্স টিম বুঝতে পারে। কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অধিকাংশ সময়ই সঠিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে না। তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করতো, তবে কারসাজির হোতাদের কারসাজি অনেকাংশে কমে যেতো।

এসব বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিজনেস জার্নালকে বলেন, ডিএসই মডার্ন সফটওয়্যার দিয়ে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন সার্ভিল্যান্স করে থাকে। কিন্তু পুরাতন ভার্সনের সফটওয়্যার দিয়ে আমাদের সার্ভিল্যান্স টিম কাজ করছে। যে কারণে আমরা অনেক সময় শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিষয়টি বুঝতে পারি না। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে মডার্ন সফটওয়্যার আমাদের হাতে আসবে, কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন সার্ভিল্যান্স করার জন্য। তখন আমাদের সার্ভিল্যান্স টিম আরও ভালোভাবে কাজ করবে। আর কমিশনের সার্ভিল্যান্স টিম সঠিকভাবে কাজ করছে না, এই কথাটি কিছুটা সত্য, তবে পুরোপুরি সত্য নয়।

তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে,  গত ২৩ ডিসেম্বর খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। এখান থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকহারে বাড়া শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর এসে দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ ৩২৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।

আরও পড়ুন: শিবলী রুবাইয়াতের জামিন চাইলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা!

গত মাসের শেষ সপ্তাহে ডেল্টা স্পিনিংয়ের সম্মিলিতভাবে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৫ টাকা। কোম্পানিটি ‘জেড’ গ্রুপে অবস্থান করছে। এছাড়াও এই সময়ে ‘জেড’ গ্রুপের আরও চারটি কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবি বৃদ্ধি পায়। কোম্পানিগুলো হলো- তাল্লু স্পিনিং, প্রাইম টেক্সটাইল, গ্লোবাল হেবি কেমিক্যাল এবং খুলনা পাওয়ার। এর মধ্যে তাল্লু স্পিনিংয়ের ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, গ্লোবাল হেবি কেমিক্যালের ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং খুলনা পাওয়ারের শেয়ারের দাম ৮ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।

বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে বাজারে স্বচ্ছতা ও আস্থা আরও কমে যাবে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বিএসইসি কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগগুলো কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয় কি না।

ঢাকা/টিএ