০৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদকে লিগ্যাল নোটিশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৭২৫ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে আইনি নোটিশ (লিগ্যাল নোটিশ) পাঠিয়েছেন তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) কিছু শেয়ারহোল্ডার। কোম্পানিটিতে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ না করেও একজন পরিচালক পদে থাকায় এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি আইনি নোটিশটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), অর্থ মন্ত্রণালয়ে সচিব, এনটিসির এমডি ও ১০ পরিচালককে এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের রেজিস্ট্রারকে দেওয়া হয়েছে।

নোটিশটি পাঠিয়েছেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির নেসার উদ্দিন, কোহিনুর আহমেদ, কাজী মুরসালিন উল্লাহসহ ১২ জন শেয়ারহোল্ডারের পক্ষে ব্যারিস্টার ফারাবি সালাউদ্দিন তুসহিব।

নোটিশে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল টি কোম্পানি পরিচালকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এ কোম্পানিটিতে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ১ জন পরিচালক আছেন যিনি ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেন না। তারপরও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কোম্পানি পরিচালনায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকে ক্ষতিকর মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: তিন কোম্পানির ক্যাটাগরি অবনমন

এদিকে কোম্পানির পর্ষদের রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে। যে অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া জরুরি বলে দাবি করা হয়েছে।

কোম্পানিটিতে পরিচালকদের কোরাম পূরণ ছাড়াই অবৈধভাবে পর্ষদ সভা করে বিশেষ এজেন্ডা পাস করিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে পর্ষদের স্বেচ্ছাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে।

লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বিএসইসির রেগুলেশনস ও নোটিফিকেশন ভঙ্গের মাধ্যমে কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগকে বিপদে ফেলা হয়েছে। অথচ বিএসইসি কোম্পানিটিকে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন (কর্পোরেট গভর্নেন্স) অনুযায়ী পরিচালনা করাতে বাধ্য।

বিএসইসিকে কোম্পানিটির পুরো পর্ষদের কার্যক্রম তদন্তের পদক্ষেপ নিতে আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে, বিএসইসিকে একজন পরিচালক নিয়োগ দিতে বা অন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে এবং পর্ষদের সব সভা বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে- লিগ্যাল নোটিশে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদকে লিগ্যাল নোটিশ

আপডেট: ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে আইনি নোটিশ (লিগ্যাল নোটিশ) পাঠিয়েছেন তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) কিছু শেয়ারহোল্ডার। কোম্পানিটিতে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ না করেও একজন পরিচালক পদে থাকায় এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসি চেয়ারম্যানের পাশাপাশি আইনি নোটিশটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), অর্থ মন্ত্রণালয়ে সচিব, এনটিসির এমডি ও ১০ পরিচালককে এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের রেজিস্ট্রারকে দেওয়া হয়েছে।

নোটিশটি পাঠিয়েছেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির নেসার উদ্দিন, কোহিনুর আহমেদ, কাজী মুরসালিন উল্লাহসহ ১২ জন শেয়ারহোল্ডারের পক্ষে ব্যারিস্টার ফারাবি সালাউদ্দিন তুসহিব।

নোটিশে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল টি কোম্পানি পরিচালকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এ কোম্পানিটিতে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ১ জন পরিচালক আছেন যিনি ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেন না। তারপরও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কোম্পানি পরিচালনায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকে ক্ষতিকর মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: তিন কোম্পানির ক্যাটাগরি অবনমন

এদিকে কোম্পানির পর্ষদের রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে। যে অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া জরুরি বলে দাবি করা হয়েছে।

কোম্পানিটিতে পরিচালকদের কোরাম পূরণ ছাড়াই অবৈধভাবে পর্ষদ সভা করে বিশেষ এজেন্ডা পাস করিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যা সম্ভব হয়েছে পর্ষদের স্বেচ্ছাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে।

লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বিএসইসির রেগুলেশনস ও নোটিফিকেশন ভঙ্গের মাধ্যমে কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগকে বিপদে ফেলা হয়েছে। অথচ বিএসইসি কোম্পানিটিকে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন (কর্পোরেট গভর্নেন্স) অনুযায়ী পরিচালনা করাতে বাধ্য।

বিএসইসিকে কোম্পানিটির পুরো পর্ষদের কার্যক্রম তদন্তের পদক্ষেপ নিতে আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে, বিএসইসিকে একজন পরিচালক নিয়োগ দিতে বা অন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে এবং পর্ষদের সব সভা বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে- লিগ্যাল নোটিশে।

ঢাকা/এসএইচ