০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে সী পার্ল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৫০৫ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করা কোম্পানি বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডসের (বিডি ওয়েল্ডিং) বিগত ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণে সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পাকে অনুমতি দিয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে কোম্পানি দুটি ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর বিএসইসি একটি চিঠি পাঠিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য মতে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে বর্তমানে ৩১.০১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ২৫.২৫ শতাংশ শেয়ার আইসিবির কাছে আছে। সি পার্লের ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য আইসিবির কাছে থাকা সব শেয়ার সি পার্লের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে। বাকি ৪.৭৫ শতাংশ শেয়ার এমডি ও পরিচালকদের কাছ থেকে বিক্রি করা হবে।

বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বন্ধ কোম্পানিকে চালু করতে উদ্যোগ নেয়। যার ধারাবাহিকতায় বিডি ওয়েল্ডিংসকে উৎপাদনে ফেরাতে উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে কমিশন। এছাড়া, বিগত ২ অর্থবছরের আর্থিক অবস্থাসহ সার্বিক বিষয় নিরীক্ষার জন্য বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এরপরে একই বছরের মার্চে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বাদ দিয়ে ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া, আরও ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ওই ৪ জনের মধ্যে আইসিবির পক্ষ থেকে মনোনীত একজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: যে কারনে পদত্যাগ করলেন এসআইবিএলের চেয়ারম্যান ও এএমডি!

এর আগে কমিশন আইসিবির শেয়ার বিক্রিসহ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে ৫টি পরামর্শ দিয়েছিল। এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে- বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ধারণ করা আইসিবির শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া, কোম্পানি সচিবের অপসারণ বিষয়ে সিকিউরিটিজ আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, নির্বাহী পরিচালকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে কোম্পানির কোনো অপারেশনাল ইস্যুতে নিযুক্ত না করা, কোম্পানির নিরীক্ষা কার্যক্রম ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে করা, পরিচালনা পর্ষদ সভায় সেক্রেটারিয়াল প্যাকটিক ও প্রাসঙ্গিক সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করার।

বিডি ওয়েল্ডিংয়ের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আইসিবি থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কোম্পানিটি আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় সম্ভাবনাময় ক্রেতার কাছে আইসিবির শেয়ার বিক্রির পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

কোম্পানিটি ১৯৯৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে সী পার্ল

আপডেট: ০১:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করা কোম্পানি বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডসের (বিডি ওয়েল্ডিং) বিগত ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণে সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পাকে অনুমতি দিয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে কোম্পানি দুটি ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর বিএসইসি একটি চিঠি পাঠিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য মতে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে বর্তমানে ৩১.০১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ২৫.২৫ শতাংশ শেয়ার আইসিবির কাছে আছে। সি পার্লের ৩০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য আইসিবির কাছে থাকা সব শেয়ার সি পার্লের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে। বাকি ৪.৭৫ শতাংশ শেয়ার এমডি ও পরিচালকদের কাছ থেকে বিক্রি করা হবে।

বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বন্ধ কোম্পানিকে চালু করতে উদ্যোগ নেয়। যার ধারাবাহিকতায় বিডি ওয়েল্ডিংসকে উৎপাদনে ফেরাতে উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে কমিশন। এছাড়া, বিগত ২ অর্থবছরের আর্থিক অবস্থাসহ সার্বিক বিষয় নিরীক্ষার জন্য বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এরপরে একই বছরের মার্চে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বাদ দিয়ে ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া, আরও ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ওই ৪ জনের মধ্যে আইসিবির পক্ষ থেকে মনোনীত একজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: যে কারনে পদত্যাগ করলেন এসআইবিএলের চেয়ারম্যান ও এএমডি!

এর আগে কমিশন আইসিবির শেয়ার বিক্রিসহ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে ৫টি পরামর্শ দিয়েছিল। এসব পরামর্শের মধ্যে রয়েছে- বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ধারণ করা আইসিবির শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া, কোম্পানি সচিবের অপসারণ বিষয়ে সিকিউরিটিজ আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, নির্বাহী পরিচালকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে কোম্পানির কোনো অপারেশনাল ইস্যুতে নিযুক্ত না করা, কোম্পানির নিরীক্ষা কার্যক্রম ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে করা, পরিচালনা পর্ষদ সভায় সেক্রেটারিয়াল প্যাকটিক ও প্রাসঙ্গিক সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করার।

বিডি ওয়েল্ডিংয়ের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আইসিবি থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কোম্পানিটি আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় সম্ভাবনাময় ক্রেতার কাছে আইসিবির শেয়ার বিক্রির পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

কোম্পানিটি ১৯৯৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

ঢাকা/টিএ