বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষমতায়ন জরুরি: আশিকুর রহমান

- আপডেট: ০১:১৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
- / ১০৫৮৮ বার দেখা হয়েছে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে অন্যতম মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. আশিকুর রহমান। সম্প্রতি পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজনেস জার্নালের কাছে তাঁর মতামত তুলে ধরেন। বিজনেস জার্নালের পাঠকদের জন্য তাঁর মতামত প্রকাশ করা হলো। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান।
বিজনেস জার্নাল: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক অবস্থাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাজার পতনের প্রধান কারণগুলো কি?
মো. আশিকুর রহমান: পুঁজিবাজারের অবস্থা এখন ভালো না। সূচক, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ মোটেই সন্তোষজনক নয়। বর্তমানে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। ২০১২ সালেও এই রকম লেনদেন হয়েছে। ২০২৫ সালে এসে যদি আমরা ২০১২ সালের সিনারিও (চিত্র) দেখি, তবে অবশ্যই সেটা বাজারের জন্য ভালো নয়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তিনি বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে দেশ অস্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে না। ট্রেজারি বিল, বন্ডের ইন্টারেস্ট রেটটা অনেক হাই ছিল, যদিও সম্প্রতি এসবের ইন্টারেস্ট রেট কিছুটা কমেছে। যে কারণে পুঁজিবাজারের লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে বাজারের উন্নয়ন করতে হলে, লেনদেন বাড়াতে হলে, অর্থনীতির পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবেও একটি স্থিতিশীল অবস্থায় দেশকে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মিস ম্যানেজমেন্ট, রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস ও বাজে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে বাজার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনেক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জগুলো থেকে কেড়ে নিয়েছে। কমিশন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আপত্তি স্বত্তেও অনেক বাজে কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত করেছে। গত ১৫ বছরে ১৮০টি কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে, যার অধিকাংশই বাজে কোম্পানি। পাশাপাশি অনেক কোম্পানির শেয়ার দর সন্তোষজনক নয়, বন্ড মার্কেটের তেমন উন্নয়ন হয়নি, গত দুই/তিন বছরে কিছুটা হয়েছে, কিন্তু সন্তোষজনক নয়। ফলে এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করলেও, সব বিনিয়োগকারী আস্থাহীনতার কারণে বিনিয়োগ করছে না।
বিজনেস জার্নাল: বর্তমান বাজারে শেয়ারের মূল্যায়ন কি সঠিকভাবে হচ্ছে, নাকি আন্ডারভ্যালু শেয়ারের সংখ্যা বেশি?
মো. আশিকুর রহমান: বর্তমানে ৩৬০টি কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে কোন কোম্পানিগুলো উৎপাদনে আছে, অর্থনৈতিকভাবে কতগুলো কোম্পানি ভালো অবস্থায় রয়েছে, তা বলা মুশকিল। তবে আমাদের দেশের অর্থনীতি গ্রোয়িং, আগামী বছরে পুঁজিবাজারও ঘুরে দাঁড়াবে। অনেক ভালো কোম্পানি এতো সংকটের মধ্যেও ভালো করছে। বাজারের পিই রেশিও যথেষ্ট সন্তোষজনক। এসব প্রেক্ষাপটে আমি অবশ্যই বলবো, বাজারে আন্ডারভ্যালু শেয়ারের সংখ্যাই বেশি। বাজার আন্ডারভ্যালু অবস্থায় রয়েছে।
বিজনেস জার্নাল: সাধারণ বিনিয়োগারীদের সামনে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?
মো. আশিকুর রহমান: অধিকাংশ বিনিয়োগকারী লোকসানে রয়েছে। এই লোকসান মোকাবেলা এখন তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্যের বিকল্প নেই। দেশের অর্থনীতি ভালো হওয়ার সাথে সাথে পুঁজিবাজারও ভালো হবে। তখন তারা ভালো রিটার্নও পাবে। তবে তারা এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগে ডাইভারসিফিকেশন আনতে পারে। ট্রেজারি বিল, বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে।
বিজনেস জার্নাল: বিএসইসির নতুন কমিশন বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার উন্নয়ন বা স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখতে পারছে কি? কোনো নীতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন কি?
মো. আশিকুর রহমান: একটি অস্থির পরিস্থিতিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান, কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের বাজার ও টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলেই আমরা সহজেই তা বলে দিতে পারি। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে বাজার ভালো করার দায়িত্ব বিএসইসির না। তবে এর আগের কমিশনগুলো রাজনৈতিক দলীয়করণের কারণে বাজারে হস্তক্ষেপ করেছে, বাজার আপস অ্যান্ড ডাউন হয়েছে। কিন্তু কমিশনের কাজ এটি না। কমিশন বাজারের উন্নয়নে পলিসি সাপোর্ট দেবে। বাজারের উন্নয়ন করতে হলে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (এএমসি) ও বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিও দেখে, কোম্পানি অ্যানালাইসিস করে বিনিয়োগ করবে। আমাদের যার যে কাজ সেটি যদি সঠিকভাবে করতে পারি, তবে অবশ্যই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, নীতিগত অনেক পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। অনেক কোম্পানি ডিভিডেন্ড ডিক্লায়ার্ড (ঘোষণা) করার পর সময়মতো তা দিচ্ছে না। আগে এমনটি ছিল না। গত দুই বছর ধরে এমনটি শুরু হয়েছে। কারণ কমিশন তার সঠিক রোলটা প্লে করেনি। আমি মনে করি, মার্জিন ঋণের রূলসে পরিবর্তন আসা উচিত। স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে আরও ক্ষমতায়ন করা উচিত। প্রাথমিক গণপ্রাস্তাব (আইপিও) পদ্ধতির পরিবর্তনসহ নীতিগত অনেক কিছুরই পরিবর্তন করতে হবে।
বিজনেস জার্নাল: সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আস্থার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন। বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
মো. আশিকুর রহমান: বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই আস্থার ঘাটতি রয়েছে। আগের অনেক পলিসি রয়েছে, যেগুলো বাজারের জন্য ক্ষতিকর, সেসব পলিসি যদি এখনও বাজারে প্রয়োগ করা হয়, তবে কখনই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে না। আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে, নতুন আইপিও পলিসি তৈরি করতে হবে। যারা মার্কেট ম্যানিপুলেটর তাদেরকে বড় অঙ্কের জরিমানা করতে হবে। মার্কেট ম্যানিপুলেটরদের কারণে অনেক বাজে শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। তারা বেশি দামে সেসব শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে চলে যায়। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হন অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা। তাই ম্যানিপুলেশন করে তারা যে টাকা বাজার থেকে নিয়েছে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণে তাদেরকে জরিমানা করতে হবে।
বিজনেস জার্নাল: স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর জন্য ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট কতটুকু কাজে এসেছে? ডিএসই, সিএসই এবং বাজারের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আইনটি কি রিভিউ করা উচিত?
মো. আশিকুর রহমান: স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর জন্য ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট তেমন কাজে আসেনি। সত্যি কথা বলতে, দীর্ঘমেয়াদে চিন্তা করে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট তৈর করা হয়নি। অবশ্যই এর রিভিউ করা উচিত। মিডিয়ার মাধ্যমে এক্সচেঞ্জগুলো কোন কোন কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ তা জানতে পারে। পরবর্তীতে এক্সচেঞ্জ যদি বিএসইসির কাছে কোম্পানিগুলোর কারখানা ভিজিটের জন্য অনুমতি চায়, সেক্ষত্রে বিএসইসি এক্সচেঞ্জকে ভিজিটের অনুমতি দেয়নি। এক্সচেঞ্জের অনেক পাওয়ার রিমুভ করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডিমিউচ্যুয়ালাইজেন অ্যাক্ট রিভিউ করা উচিত।
বিজনেস জার্নাল: বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিকিউরিটিজ হাউজগুলোর ব্যবসায়িক অবস্থা কেমন? ইদানিং শোনা যাচ্ছে বেশকিছু সিকিউরিটিজ হাউজে কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে, এর কারণ কী?
মো. আশিকুর রহমান: ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন দিয়ে তালিকাভুক্ত আনুমানিক ৩৫০টি ব্রোকারেজ হাউজ কিভাবে ভালো থাকবে?। অনেক হাউজ কাস্টমারদের (গ্রাহক) সার্ভিস ঠিক রেখে নিজেদের ব্যয় কমিয়েছে। কিন্তু এভাবেতো দীর্ঘমেয়াদে চলতে পারে না। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ডিএসই নিজেই অপারেটিং কষ্ট (পরিচালনা ব্যয়) লোকসানে রয়েছে। বাজারের টার্নওভার অবশ্যই বাড়ানো উচিত। এজন্য আমাদের সকলের এ ব্যাপারে গুরুত্বসহকারে ভূমিকা রাখা উচিত।
বিজনেস জার্নাল: সাম্প্রতিক আইপিওগুলো বাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে? বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ কী?
মো. আশিকুর রহমান: অতিতে যেসব আইপিও প্রিমিয়াম নিয়ে এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশই বর্তমানে ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থান করছে। কোম্পানিগুলো যে আয় দেখিয়ে বাজারে এসেছে, সেই আয় পরবর্তীতে ধরে রাখতে পারেনি। কোম্পানিগুলো অর্থনৈতিকভাবে রুগ্ন হয়েছে। এগুলো নিয়ে ডিএসই অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ডিএসইর কথার কর্ণপাত করা হয়নি। ফলে বাজারও নিম্নমুখি হয়েছে। বাজারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে অবশ্যই ভালো মানের আইপিও আনতে হবে।
বিজনেস জার্নাল: বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কতটা আকর্ষণীয়? এই বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
মো. আশিকুর রহমান: বর্তমানে আমাদের দেশে ডলারের রেট স্থিতিশীল না। সামাজিকভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। রাজনৈতিকভাবেও আমরা স্থিতিশীল না। তাহলে কেন বিনিয়োগকারীরা আমাদের বাজারে বিনিয়োগ করবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কোনো আস্থা নেই আমাদের বাজারের উপর। গত কমিশন ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষন আরও কমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে পুরো মার্কেটে বিদেশি বিনিয়োগর পরিমাণ তিন শতাংশের নিচে চলে এসেছে। তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ আনতে হলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এই দেশকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে আনতে হবে। কোনো রিস্ক কান্ট্রিতে (ঝুঁকিপূর্ণ দেশ) বিদেশিরা বিনিযোগ করতে চায় না।
বিজনেস জার্নাল: মূল্যস্ফীতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনগুলি কিভাবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করছে?
মো. আশিকুর রহমান: ইন্টারেস্ট রেট যত বেশি হবে, পুঁজিবাজার তত নিম্নমুখি হবে। কারণ বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে। কিন্তু ইন্টারেস্ট রেট যদি হাই থাকে, তবে তারা এই ঝুঁকিটা নিতে চাইবে না। তারা মানি মার্কেটে বিনিয়োগ করবে। পুঁজিবাজারের টার্নওভার বাড়াতে হলে, স্থিতিশীল করতে হলে অবশ্যই ইন্টারেস্ট রেট কমাতে হবে, কমাতে হবে ইনফ্লেশন (মূল্যস্ফীতি)।
বিজনেস জার্নাল: নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বাজারে প্রবেশের উপযুক্ত সময় কি? তাদের কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
মো. আশিকুর রহমান: আসলে মার্কেটে প্রবেশের কোনো টাইম ফ্রেম ওয়ার্ক বেধে দেওয়া ঠিক না। নতুন বিনিয়োগকারীরা যেকোনো সময় বিনিয়োগ করতে পারে। তবে তাদের খেয়াল রাখতে হবে, যে শেয়ারে বিনিয়োগ করবে, সেটি ভালো মানের কি-না। ভালোভাবে অ্যানালাইসি করে বিনিয়োগ করা উচিত। আর নতুন পুরাতন সব বিনিয়োগকারীকে বলবো মার্জিন লোন নিয়ে যেন বিনিয়োগ না করে। বাজে শেয়ারে বিনিয়োগ করলেও, সেখান থেকে কোনো এক সময় ভালো রিটার্ন আসতে পারে। কিন্তু মার্জিন লোন নিয়ে মুনাফা করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এটা সবাই পারে না। কিছু বিনিয়োগকারী মুনাফা করতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ বিনিয়োগকারীই লোকসান করে।
আরও পড়ুন: উচ্চ সুদহারে পুঁজিবাজার ছেড়ে ব্যাংকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা: মমিনুল ইসলাম
বিজনেস জার্নাল: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য বর্তমান বাজারে কী সম্ভাবনা রয়েছে? বিনিয়োগকারীরা কিভাবে একটি স্থায়ী কৌশল তৈরি করতে পারে?
মো. আশিকুর রহমান: ভালো মানের শেয়ারে অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে। যদি প্রাইস কমে যায়, তবে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ প্রাইস কমলেও এসব কোম্পানি বিজনেসে ভালো ফাংশন করে। তাই একটা সময় প্রাইস আবার হাই হবে, তখন সেল (বিক্রি) করে বাজার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বিনিয়োগকারীরা। আর ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। বিনিয়োগ করা যেতে পারে সঞ্চয়পত্রেও।
বিজনেস জার্নাল: বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে সর্বশেষ যদি কিছু বলতেন
মো. আশিকুর রহমান: বর্তমান পরিস্থিতি মোটেই ভালো না। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী লোকসানে রয়েছে। তবে সামনে পরিস্থিতি অবশ্যই ভালো হবে। সেই সময়টা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্যের বিকল্প নেই। মার্কেট অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে।
ঢাকা/টিএ