১২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণায় উদ্বেগে বাইডেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৪১১৯ বার দেখা হয়েছে

প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার বিষয়ে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

একইসঙ্গে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের এই বক্তব্যকে ‘বিপজ্জনক’ কথা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বুধবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

টানা ১৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ এই আগ্রাসনের জেরে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর ও এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের বাখমুত শহর দখলে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে রুশ বাহিনী।

এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়া বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে।

নিজের সর্বশেষ এই পদক্ষেপটি পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি লঙ্ঘন করবে না বলেও জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। একইসঙ্গে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের এই সিদ্ধান্তকে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র স্থাপনের সাথেও তুলনা করেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিলেও মস্কো এই অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মিনস্কের কাছে হস্তান্তর করবে না।

এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এটি বিপজ্জনক ধরনের কথাবার্তা এবং একইসঙ্গে এটি উদ্বেগজনক।’

এএফপি বলছে, রাশিয়ার এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র স্থানান্তরের কোনও চিহ্ন এখনও দেখেননি। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘তারা সেটা (বেলারুশে অস্ত্র স্থানান্তর) এখনও করেনি।’

উল্লেখ্য, বেলারুশ হচ্ছে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ একটি মিত্র দেশ। বেলারুশিয়ান সরকার ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের কট্টর সমর্থক। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বছরজুড়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।

আরও পড়ুন: সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩

প্রেসিডেন্ট পুতিন গত শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি তার কাছে উত্থাপন করেছেন।

পুতিন সেসময় আরও বলেন, ‘এখানেও অস্বাভাবিক কিছু নেই। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে এটি করে আসছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের মিত্র দেশগুলোর ভূখণ্ডে তাদের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেছে।’

তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের স্টোরেজ সুবিধার নির্মাণ কাজ শেষ করবে।’

অবশ্য ঠিক কবে নাগাদ অস্ত্রগুলো বেলারুশে স্থানান্তর করা হবে তা ভ্লাদিমির পুতিন উল্লেখ করেননি। তবে এই ঘোষণা বাস্তবে রূপ নিলে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে রাশিয়া।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

English Version

বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণায় উদ্বেগে বাইডেন

আপডেট: ১০:৫০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার বিষয়ে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

একইসঙ্গে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের এই বক্তব্যকে ‘বিপজ্জনক’ কথা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বুধবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

টানা ১৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ এই আগ্রাসনের জেরে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর ও এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের বাখমুত শহর দখলে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে রুশ বাহিনী।

এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়া বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে।

নিজের সর্বশেষ এই পদক্ষেপটি পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি লঙ্ঘন করবে না বলেও জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। একইসঙ্গে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের এই সিদ্ধান্তকে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র স্থাপনের সাথেও তুলনা করেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিলেও মস্কো এই অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মিনস্কের কাছে হস্তান্তর করবে না।

এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এটি বিপজ্জনক ধরনের কথাবার্তা এবং একইসঙ্গে এটি উদ্বেগজনক।’

এএফপি বলছে, রাশিয়ার এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র স্থানান্তরের কোনও চিহ্ন এখনও দেখেননি। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘তারা সেটা (বেলারুশে অস্ত্র স্থানান্তর) এখনও করেনি।’

উল্লেখ্য, বেলারুশ হচ্ছে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ একটি মিত্র দেশ। বেলারুশিয়ান সরকার ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের কট্টর সমর্থক। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বছরজুড়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।

আরও পড়ুন: সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৩

প্রেসিডেন্ট পুতিন গত শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি তার কাছে উত্থাপন করেছেন।

পুতিন সেসময় আরও বলেন, ‘এখানেও অস্বাভাবিক কিছু নেই। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে এটি করে আসছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের মিত্র দেশগুলোর ভূখণ্ডে তাদের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেছে।’

তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের স্টোরেজ সুবিধার নির্মাণ কাজ শেষ করবে।’

অবশ্য ঠিক কবে নাগাদ অস্ত্রগুলো বেলারুশে স্থানান্তর করা হবে তা ভ্লাদিমির পুতিন উল্লেখ করেননি। তবে এই ঘোষণা বাস্তবে রূপ নিলে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে রাশিয়া।

ঢাকা/এসএম