ভ্যাট সুবিধা কমলেও দাম বাড়বে না মোবাইলের

- আপডেট: ০৬:৩৫:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / ১০২৬৫ বার দেখা হয়েছে
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন ও সংযোজন খাতে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমানোর প্রস্তাব করা হলেও এর প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়বে না বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সোমবার (২ জুন) প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, শর্তসাপেক্ষে মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজন খাতে ভ্যাট অব্যাহতির সুযোগ কিছুটা কমিয়ে তার মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ঠিক কতটুকু সুবিধা কমানো হয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি।
ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব পড়বে না
বিষয়টি নিয়ে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি মনে করি বাজেটে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কমানোর কোনো প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়বে না। উৎপাদন পর্যায়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকদের লাভের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে, তবে সেটাও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
তিনি আরও বলেন, বেশিভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রায় ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে এবং ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ব্যয় তেমন একটা হয় না। তাই আমার ধারণা, ব্যবসায়িক পর্যায়েও এর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না
ইন্টারনেট ও মোবাইল গ্রাহকদের জন্য সুখবর
অন্যদিকে, একই বাজেটে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ও মোবাইল গ্রাহকদের জন্য বড় ধরনের সুখবর এসেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সেবার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক চাপ কমবে এবং গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট আরও সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের কর কমার ফলে সেবার মান উন্নয়ন, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়বে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।
এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এসএইচ